Electricity Bill: আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে মানুষ বিদ্যুৎ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে অনেক বেশি। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সারাদিনে কতগুলো বৈদ্যুতিক জিনিস ব্যবহার করা হয় তার কোন হিসাব নেই। বৈদ্যুতিক জিনিসের ব্যবহার যেমন বেড়েছে বিদ্যুতের খরচও ততটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুতের বিল দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত পড়ে।
পড়াশোনা করা, রান্না করা ,কাপর কাচা সব কিছুতেই চাই বিদ্যুৎ। এছাড়াও টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, ট্রিমার, ইলেকট্রিক ওভেন, এসি, লাইট, ফ্যান, গিজার বিদ্যুৎ ছাড়া এর সবকিছুই অচল। বৈদ্যুতিক জিনিসের পরিমাণ যেমন বাড়ছে বিদ্যুতের বিল (Electricity Bill) দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের পকেটে পড়ছে টান। কিভাবে এই অবস্থা থেকে বেরোনো যাবে জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে।
বিদ্যুতের খরচ (Electricity Bill) কমাতে কি করা প্রয়োজন? এই ধরনের প্রশ্ন সকলের মনেই ঘুরপাক করে। বিভিন্ন লোকেরা বিভিন্ন রকম মত দিলেও কোনটি কাজে লাগবে সেটি জানা দরকার। অনেকের মতে এসির সঙ্গে ফ্যান চালালে কম কারেন্ট পোড়ে, আবার কেউ কেউ বলেন বারবার এসি বন্ধ-চালু করলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। বিদ্যুতের খরচ কমাতে কি করতে হবে সেটা আগে জানতে হবে।
আরো পড়ুন: ধূপগুড়ি-ফালাকাটা চার লেনের মহাসড়ক, বহু প্রতীক্ষার অবসান
রাজ্য সরকার দ্বারা চালু হওয়া একটি স্কিম বা প্রকল্প সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া দরকার। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প সম্পর্কে অনেকেই অবগত নয় সেই কারণেই বিদ্যুতের বিল (Electricity Bill) বেশি দিতে হয়। ২০২০ সালে রাজ্য সরকার এমন একটি প্রকল্প চালু করেছিল যার দ্বারা বিদ্যুতের বিলের খরচ কমানো সম্ভব। প্রকল্পটির নাম হল ‘হাসির আলো’ প্রকল্প। এই প্রকল্প অনুযায়ী যেসব বাড়িতে ২৫ ইউনিট বা তার কম বিদ্যুৎ খরচ হয়, তাদের বিদ্যুতের বিলের জন্য কোন রকম খরচ দিতে হবে না।
আমাদের রাজ্যে সাধারন মানুষ তিন মাসে একবার বিল দেয় অর্থাৎ বিদ্যুৎ বিভাগের তিন মাসে একবার বিল নেওয়ার প্রথা প্রচলিত রয়েছে। ধরুন কোন পরিবার যদি তিন মাসের মধ্যে ৭৫ বা তার কম ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করেন তাহলে তাদেরকে আর কোনরকম টাকা দিতে হবে না। এছাড়াও বাড়তি সুবিধা হিসাবে পাবে ১০ ইউনিট অবধি প্রতি ইউনিটে আড়াই টাকা করে ছাড়। তবে সবাই যে এই ছাড় পাবেন সেটা কিন্তু নয়। কেবল যাঁরা বিপিএল নথিভুক্ত তাঁদের জন্যই রাজ্য সরকারের এই বিশেষ প্রকল্প।