Restrictions for Bike Taxis: শহরে ক্রমাগত বাড়ছে বাইক ট্যাক্সির চাহিদা, কম ভাড়াতে দ্রুত পৌঁছতে পারবেন গন্তব্যস্থলে

Prosun Kanti Das

Updated on:

Advertisements

Restrictions for Bike Taxis: যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে দিনকে দিন। সম্প্রতি রাস্তাঘাটে বাস কিংবা ট্যাক্সির সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে উপরন্ত বেড়েছে বাইক ট্যাক্সির সংখ্যা। অ্যাপ ট্যাক্সিগুলোতে ভাড়া অত্যন্ত বেশি হওয়ার কারণে অনেকেই তা ইচ্ছে থাকলেও ব্যবহার করতে পারেন না। বিকল্প হিসাবে তাই শহরাঞ্চলে বাইক ট্যাক্সির চাহিদা অনেকাংশে বেড়েছে। বাইক ট্যাক্সি করে খুব দ্রুত যানজট কাটিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারবেন। ভাড়া কম হওয়ার কারণে স্কুল কলেজের পড়ুয়া থেকে শুরু করে অফিস যাত্রী এবং অন্যান্য মানুষেরাও ভরসা করছে এই বাইক ট্যাক্সির ওপর।

Advertisements

বাইক ট্যাক্সির ফলে শুধুমাত্র যে যাত্রীরা উপকার পাচ্ছেন তা নয় বহু বেকার যুবক-যুবতীরা এই পেশায় নিযুক্ত হয়ে নিজেদের জীবন সহজভাবে চালাতে পারছে। কিন্তু পরিবহন ব্যবস্থার এই বিকল্পের সামনে এখন প্রধান বাধা হলো সরকারি বিধিনিষেধ। উৎসবের মরসুমে বাইক ট্যাক্সির জন্য একগুচ্ছ বিধিনিষেধ জারি (Restrictions for Bike Taxis) করেছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, যদি এখন থেকে সরকারি বিধিনিষেধ সমস্ত মেনে চলতে হয় তাহলে লাভের গুড় পিঁপড়ে খেয়ে চলে যাবে। এর ফলে বাইক ট্যাক্সি চালানো অনেকের পক্ষেই সম্ভবপর হবে না।

Advertisements

রাজ্যের পরিবহন দপ্তর থেকে একটি নির্দেশিকা জারি (Restrictions for Bike Taxis) করা হয়েছে যাতে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে টু-হুইলারে যাত্রী বহণ করতে গেলে অতি অবশ্যই ট্রান্সপোর্ট ভেহিকেল হিসাবে পরিবহণ দপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। প্রতিবছর এর জন্য গুনতে হবে বিশাল অংকের ট্যাক্স। অবশ্যই লাগবে কমার্শিয়াল পারমিট এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট। যাদের কাছে বৈধ লাইসেন্স নেই তারা বাইক ট্যাক্সি চালাতে পারবে না। বাইক চালক এবং আরোহীর মাথায় হেডগার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।

Advertisements

একজনের বেশি যাত্রী নিয়ে এই বাইক চালানো যাবে না। মালপত্র সর্বোচ্চ ১০ কিলো ওজনেরই নেওয়া যাবে। বাইকে করে পরিবহনের সময় জিনিসপত্র যাতে বাইকের বাইরে না থাকে সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে। চাকা থেকে সর্বাধিক ৩৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাইরে বেরিয়ে থাকতে পারে। তার বেশি হলেই মোটর ভেহিকেলস কিংবা পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। কলকাতা এবং তার আশপাশের শহরতলি এলাকায় প্রায় ২০-২২ হাজার বাইক ট্যাক্সি রয়েছে।

আরো পড়ুন: কেন ন্যানো তৈরির কারখানার জন্য বেছে নিয়েছিলেন সিঙ্গুরকে, অবশেষে মুখ খুললেন এক সহযোগী

এই রাজ্যে সম্প্রতি কমার্শিয়াল প্ল্যাটফর্মের হয়ে মালপত্র সরবরাহ করে প্রায় দেড় লক্ষ বাইক চালক। এবার থেকে এদের সবার লাগবে কমার্শিয়াল লাইসেন্স। এই ধরনের বাইকের জন্য আলাদা সিরিজের নম্বর দেওয়া হবে। নম্বর প্লেটগুলো হলুদ রঙের হতে হবে। একাধিক সরকারি নিষেধাজ্ঞার ফলে সমস্যায় পড়তে চলেছে বাইক ট্যাক্সির চালকরা।

পরিবহন দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী একটি সাধারণ বাইকে কমার্শিয়াল বাইকে পরিণত করতে খরচ হবে ১০৯০ টাকা। পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশনের জন্য জমা দিতে হবে ৩৪০ টাকা। আবেদন করার সময় দিতে হবে ১০০টাকা। পারমিটের জন্য খরচ পড়বে দু’হাজার টাকা। নতুন নম্বর প্লেটের জন্য লাগবে ৫০০ টাকা। এমন বহু বাইক চালক আছেন যারা ব্যক্তিগত বাইকের যাত্রী পরিবহন করছেন। আইনত সেটা অপরাধ, পুলিশ সেই কারণে তাদের ফাইন করেছিল। কর্মসংস্থানের কথা মাথায় রেখেই কমার্শিয়াল পারমিট নিতে বলা হচ্ছে। সরকারি নিয়ম (Restrictions for Bike Taxis) মানলে তাদের আর কোন ঝামেলায় পড়তে হবে না এবং যাত্রীরাও সুরক্ষিত থাকবে।

Advertisements