Cyclone Dana Landfall: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ডানা, কোথায় হবে ল্যান্ডফল? প্রভাব পড়বে কোন কোন জেলায়?

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলাএক্সপি সেপ্টেম্বর মাসের ১৬ তারিখ প্রথম জানিয়েছিল, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে বঙ্গোপসাগরে। আমাদের সেই খবরকে সত্যি করেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ডানা (Cyclone Dana)। এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল (Cyclone Dana Landfall) কোথায় হবে? এর প্রভাব কোন কোন জেলায় পড়বে? চলুন দেখে নেওয়া যাক।

Advertisements

পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ২৩ অক্টোবর অর্থাৎ বুধবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এমনটাই জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে কাতার। কেউ কেউ এই ঘূর্ণিঝড়কে ডানা আবার কেউ কেউ বলছেন দানা। বাংলা উচ্চারণের ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে বিভিন্ন মহলে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী সোমবার তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি মঙ্গলবার সুস্পষ্ট গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং বুধবার তা পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে।

Advertisements

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়টি মূলত ল্যান্ডফল করতে পারে পুরি এবং সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি কোন জায়গায়। ল্যান্ডফল হতে পারে ২৪ অক্টোবর রাত ও ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে। পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর মূলত উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। পশ্চিমবঙ্গ উপকূল পার করে ঘূর্ণিঝড়টির ল্যান্ডফল হবে বলেই পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।

Advertisements

আরও পড়ুন : JioKrishi: এবার কৃষিকাজেও আয় হবে প্রচুর, কারণ সঙ্গে আছে যে জিওকৃষি

ডানা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলার উপর দেখা যাবে বলেও আবহাওয়া দপ্তর তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে মঙ্গলবার থেকেই উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। এর পাশাপাশি ২৪ ও ২৫ অক্টোবর রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

যে সকল জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর সেই সকল জেলাগুলি হল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায়। এর পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ডানা যখন ল্যান্ডফল করবে সেই সময় উপকূলবর্তী এলাকায় দমকা হাওয়া বইতে পারে এবং যে হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার ও সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছে যেতে পারে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটারে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাবেও গাছপালা সহ কৃষি ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

Advertisements