GST: সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটির ক্ষেত্রে এনেছে বড় রকমের রদবদল। অবশেষে মেনে নেওয়া হয়েছে বিরোধীদের দাবি। জীবন বিমা পলিসিতে জিএসটিতে বড়সড় ছাড় ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। যে সমস্ত প্রবীণ ব্যক্তিরা জীবন বিমা পলিসি করে থাকেন তারা এবার থেকে স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়ামে পুরোপুরি জিএসটির ছাড় পেতে চলেছেন। কেন্দ্রের তরফ থেকে এত বড় সিদ্ধান্তের ফলে সত্যিই লাভ হবে সাধারণ জনগণের।
এছাড়াও জীবন বিমার ক্ষেত্রে আরো একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জীবন বিমার টার্ম পলিসি থেকেও উঠতে চলেছে জিএসটি (GST)। প্রবীণ নাগরিকদের এই সুবিধা প্রদান করে আমজনতার কাছ থেকে কিভাবে তা উসুল করবে কেন্দ্রীয় সরকার? আমজনতাকে দিতে হবে এর খেসারত। লোকসান পোষাতে একাধিক পণ্যের উপর জিএসটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে চলেছে জিএসটি কাউন্সিল।
সূত্র মারফত জানা গেছে যে, জিএসটি কাউন্সিল গঠিত মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে শনিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে বাড়ানো হবে একাধিক পণ্যের জিএসটির হার। তবে যে সমস্ত মানুষেরা বিলাসবহুল পণ্য ব্যবহার করতে অভ্যস্ত তাদের মাথায় হাত পড়বে। কারণ জিএসটির হার বাড়ানো হচ্ছে মূলত বিলাসবহুল পণ্যের উপর। ২৫ হাজারের বেশি মূল্যের হাতঘড়ির করের পরিমাণ বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আপাতত ২৫ হাজারের বেশি মূল্যের ঘড়িতে ১৮ শতাংশ কর নেওয়া হয়। যারা ১৫ হাজার টাকার বেশি দামি জুতো ব্যবহার করেন তাদেরও দিতে হবে অধিক পরিমাণে জিএসটি (GST)। ওই পণ্যের জিএসটিও ১৮ থেকে বেড়ে ২৮ শতাংশ হতে চলেছে।
আরো পড়ুন: বিনা সুদে মহিলারা পাবে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন, সুবিধা পেতে করুন এই কাজ
এছাড়াও সাধারণ মানুষের কথা ভেবে একাধিক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের উপর কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে জিএসটির পরিমাণ। জিএসটি (GST) কাউন্সিল গঠিত মন্ত্রী পরিষদ এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানা গেছে সূত্র অনুযায়ী। এবার থেকে ২০ লিটার জলের জারের জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হবে ৫ শতাংশ। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকার কমদামি বাই সাইকেলের জিএসটিও ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হবে। সাইকেল হল একটি পরিবেশবান্ধব যানবাহন যার বিক্রি বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই সরকারের এই প্রচেষ্টা।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে সরাসরি চাপ পড়তে পারে কেন্দ্রীয় কোষাগারে। জীবন বিমার উপর জিএসটিতে ছাড় দেওয়ায় সমস্যা হতে পারে কেন্দ্রের। বছরের মাঝখানে হয়তো দেখা যেতে পারে রাজস্বের ঘাটতি। কিন্তু ঘাটতি থাকলে তো হবে না, সেই কারণেই ঘাটতি মেটানোর জন্য জিএসটি বাড়ানো হয়েছে বিলাসবহুল জুতো এবং ঘড়িতে। সরকারি সূত্র বলছে, এই সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর হলে বছরে বাড়তি ২২ হাজার কোটি টাকা কর আদায় হবে।