Indian Railways: কেন কমানো হলো টিকিট বুকিং এর সময়সীমা, কি কারণ আছে এর পিছনে

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Indian Railways: সম্প্রতি ভারতীয় রেল দূরপাল্লার টিকিট বুকিং এর ক্ষেত্রে একটি বড়সড় পরিবর্তনে এনেছে। অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের সময় ১২০ দিন থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৬০ দিন। এই নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে। যদি কোথাও যাবেন বলে পরিকল্পনা করেন তাহলে টিকিট বুক করতে হবে মাত্র দু মাস আগে। যাদের টিকিট আগেই কাটা হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে না। তবে অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের সময় অতীতে একাধিক বার বদল করেছে রেল।

Advertisements

ভারতীয় রেল এর (Indian Railways) আগেও টিকিট বুকিং এর নিয়মের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট বুক করার সময় ছিল সবথেকে কম, মাত্র এক মাস। ২০১৫ সালের পর থেকে অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের সময়কাল ১২০ দিন বা চার মাস করা হয়। কিন্তু আবারো কেন এই নিয়মের ক্ষেত্রে পরিবর্তন করল ভারতীয় রেল? এর পিছনের আসল উদ্দেশ্যটা কি?

Advertisements

আগের নিয়ম অনুযায়ী ১২০ দিন আগে কাটা যেত অগ্রিম টিকিট কিন্তু এক্ষেত্রে টিকিট বাতিল হওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। পাশাপাশি জরুরিকালীন যাত্রার ক্ষেত্রে টিকিটের অভাব লক্ষ্য করা গেছে। রেল কর্তৃপক্ষের মন্তব্য অনুযায়ী, টিকিট বাতিলের হার প্রায় ২১ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। অন্য দিকে ৪-৫ শতাংশ যাত্রী টিকিট পেতে সমস্যায় পড়ছিলেন। যাত্রীদের যাতে এই ধরনের সমস্যায় আর পড়তে না হয় সেই কারণেই এই নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)।

Advertisements

আরো পড়ুন: আর সরকারি কর্মচারীদের উপর ভরসা নয়, এবার বেসরকারি সাহায্য নিতে হবে ভারতীয় রেলওয়ের

এমনও ঘটনা ঘটেছে যে টিকিট বুকিং করা সত্ত্বেও যাত্রীরা যাত্রা করেনি। যাত্রা না করলেও তারা টিকিট বাতিল না করার জন্য সেই টিকিট অন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তি পাননি। এর জেরে ফাঁকা আসন থাকত ট্রেনে। রেল কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে তারা ওই ফাঁকা আসনটি টাকার বিনিময় বিক্রি করছিল সাধারণ মানুষকে। তা মোকাবিলার জন্যও ভারতীয় রেল (Indian Railways) এই পরিবর্তন এনেছে।

অগ্রিম টিকিট বুকিং এর সময় ১২০ দিন থাকাকালীন বহু এজেন্ট বেআইনিভাবে টিকিট কিনে রেখে দিতেন। এর জেরে বহুদিন আগে থেকেই ব্যস্ত রুটে টিকিট মিলত না। যাদের সত্যি দরকার হতো তারা সেই সময় টিকিট পেতে না। নিয়মের বদলের মূলে এই ধরনের কারণই দায়ী।

Advertisements