আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে কানাডার। বুধবার কানাডার পার্লামেন্টে যে বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে যে লিবারেল দলের এমপিরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রুডোর পদত্যাগের। এমনিতেই তাঁরা ট্রুডোর কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকের ফলে জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Trudeau) পদত্যাগ আরো নিশ্চিত হয়ে গেছে। তবে এ সময়ের মধ্যে ট্রুডো পদত্যাগ না করলে কী পরিণতি হবে তা উল্লেখ করা হয়নি।
আরো পড়ুন: মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিতে কমছে ডালের দাম, সরকার নিচ্ছে বড় পদক্ষেপ
ইতিমধ্যেই লিবারেল পার্টির ২৪ জন এমপি ট্রুডোর (Justin Trudeau) পদত্যাগ দাবি করে চিঠি লেখেন। বৈঠকে সকল এমপিরা আল্টিমেটাম দিয়েছেন যে, আগামী ২৮ অক্টোবরের মধ্যে ট্রুডোকে পদত্যাগ করতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করলে কি হবে সেই বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। টানা নয় বছর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিজের দায়িত্ব পালনের পর অবশেষে সেই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ নিতে হচ্ছে ট্রুডোকে।
আরো পড়ুন: রুই কাতলার থেকেও এখন কম দামে ইলিশ? এবার মাত্র ২০০ টাকা কেজি দরে ঘরে আনুন মাছের রানীকে
ট্রুডোর (Justin Trudeau) ক্ষমতা থেকে পদত্যাগের জন্য আসলে কি সে নিজেই দায়ী? কি বলছে আন্তর্জাতিক মহলের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা? ক্রমশই জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যত তাড়াতাড়ি সকলের মনের জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি তত তাড়াতাড়ি সেই জায়গা হারিয়ে ফেলেছেন। এ অবস্থায় তাঁর নিজ দল থেকে পদত্যাগের আহ্বান উঠছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে আগামী বছরের অক্টোবরের কানাডায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানেই নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবে জনগণ।
কানাডা ও ভারতের সম্পর্কে চির ধরার মূল কারণ হলো শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ড। এই ইস্যুটিকে কাজে লাগিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশই অবনতির দিকে যাচ্ছে। চলমান এই সংকটের অবসান কোথায় গিয়ে হবে তা বলতে পারছে না কোন দেশ। তবে যদি জাস্টিন ট্রুডো আবারো কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় ফিরে আসেন তাহলে ভারত সম্পর্কে তার অবস্থান পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে।