Sakti Peeth: কালীপুজোর বিশেষ দিনে ঘুরে আসুন বাংলার বিভিন্ন সতীপীঠ থেকে

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Sakti Peeth: কালীপুজো হলো বাঙ্গালীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই বিশেষ দিনে বাংলার বিভিন্ন কালীমন্দিরে ধুমধাম করে মায়ের পুজো করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ কিছু জায়গায় কালীপুজোর দিন মায়ের পুজো করা হয় অত্যন্ত ভক্তি সহকারে। কালীপুজোর দিন বাংলার বিভিন্ন সতীপীঠ থেকে ঘুরে আসতে পারেন। বহু অজানা তথ্য জানা হয়ে যাবে এই ভ্রমণের মাধ্যমে। ভারতে মোট ৫১টি সতীপীঠ রয়েছে, যার মধ্যে ১৩টি পশ্চিমবঙ্গেই অবস্থিত। কালীপুজোর ছুটিতে ঘুরে দেখতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের সতীপীঠগুলো।

Advertisements

কালিঘাট: কলকাতার কালিঘাট হলো অন্যতম একটি সতীপীঠ(Sakti Peeth)। এখানে সতীর ডান পাদাঙ্গুলি পড়েছিল। দেবীকে এখানে আরাধনা করা হয় কালিকা নামে।

Advertisements

অট্টহাস: বীরভূমের এই জায়গাটিতে পড়েছিল সতীর ওষ্ঠ। বীরভূমের লাভপুরের দক্ষিণদিহি গ্রামে অবস্থিত অট্টহাস। এখানে দেবী ফুল্লরা নামে পূজিত হোন।

Advertisements

বক্রেশ্বর: বীরভূমের দুবরাজপুর স্টেশন থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বক্রেশ্বর সতীপীঠ (Sakti Peeth) । এখানে দেবীকে পুজো করা হয় মহিষমর্দিনী নামে। এখানে সতীর ভ্রুযুগলের মাঝের অংশ পড়েছিল।

কঙ্কালীতলা: যারা শান্তিনিকেতন বেড়াতে চান তারা অবশ্যই যান কঙ্কালীতলায়। এটিও কিন্তু একটি প্রসিদ্ধ সতীপীঠ। বোলপুর স্টেশন থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই সতীপীঠে দেবীর নাম দেবগর্ভা ও ভৈরব রুরু। এখানে সতীর কঙ্কাল পড়েছিল।

আরো পড়ুন: দীপাবলীর আগে পূর্ব বর্ধমানে পুকুরের জল থেকে উঠে এলো স্বয়ং মা কালী

নন্দীপুর: সাঁইথিয়া স্টেশন থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত নন্দীপুর। কথিত আছে এখানে পড়েছিল সতীর কণ্ঠহার। দেবীকে এখানে পূজো করা হয় নন্দিনীরূপে।

কিরীটকোণা: ২০২৩ সালের ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’ হিসেবে নির্বাচিত হয় এই কিরীটকোণা বা কিরীটেশ্ব‌রী। এটি মুর্শিদাবাদে ভাগীরথীর তীরে অবস্থিত। দক্ষযজ্ঞে সতীর মুকুট এখানে পতিত হয়েছিল। এখানে দেবীর নাম বিমলা।

বিভাস: পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে অবস্থিত বিভাস। এখানে পড়েছিল দেবীর বাম গুল্ফ। সেখানে দেবী ভীমরূপা নামে পূজিত হোন।

রত্নাবলী: হুগলি জেলার খানাকুলে অবস্থিত রত্নাবলী। এই স্থানে পতিত হয়েছিল দেবীর স্কন্ধ। এখানে দেবী কুমারী নামে দুর্গার আরাধনা করা হয়।

আরো পড়ুন: জাগ্রত মা কালির গায়ের রঙ সবুজ, মানত করলেই ইচ্ছেপূরণ ১০০%

নলহাটি: সতীপীঠের (Sakti Peeth) একটি গুরুত্বপূর্ণ পীঠ হল নলহাটি। মনে করা হয় এখানে পড়েছিল দেবীর নল। এখানে দেবীর নাম কালিকা। নলহাটি স্টেশন থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে মন্দির।

বহুলা: কাটোয়া থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার অজয় নদীর তীরে কেতুগ্রামে অবস্থিত বহুলা। এখানে দেবীর বাঁ হাত পড়েছিল। এখানে দেবীর আরাধনা করা হয় বহুলা নামেই।

উজানী: বর্ধমানের গুসকরা স্টেশন থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে কোগ্রাম। এটাই হল উজানী। এখানে সতী ডান কনুই পড়েছিল। মঙ্গল চন্ডিকা নামে পুজো করা হয় দেবীর।

যুগাদ্যা: বর্ধমানের ক্ষীরগ্রামে যুগাদ্যা নামে পুজো করা হয় দেবীর। এখানে সতীর ডান পাদাঙ্গুষ্ঠ পড়েছিল। এখানে শিব পূজিত হোন ক্ষীরখন্ডক নামে।

ত্রিস্রোতা: জলপাইগুড়িতে অবস্থিত এই সতীপীঠ (Sakti Peeth) । শালবাড়ি গ্রামে তিস্তা নদীর ধারে। এখানে সতীর বাম পা পড়েছিল। দেবী ভ্রামরী নামে এখানে পূজিত হন।

Advertisements