Kolkata: তিলোত্তমা নগরী কলকাতা নতুন এবং পুরনো সবকিছুকেই আঁকড়ে বেঁচে রয়েছে। কলকাতার একপাশে রয়েছে ঐতিহ্য এবং অন্যপাশে রয়েছে আধুনিকতা। এই দুইয়ের সংমিশ্রনে এক নতুনরূপে নিজেকে সবার সামনে মেলে ধরেছে বাঙালির প্রিয় শহর কলকাতা। ২০২৪ সালে নতুন এবং পুরনোকে নিয়ে বিশ্ব দরবারে এক নয়া স্থান কায়েম করেছে কলকাতা। বিশ্বের বিভিন্ন শহরের মধ্যে কলকাতার নাম আজ জ্বলজ্বল করছে। সমীক্ষা করেছে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, তিলোত্তমা নগরী কলকাতা ভ্রমণ ও অবসর কাটানোর জন্য বিশ্বের সেরা শহরগুলির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
বাঙালি হিসাবে এটি সবার কাছে অত্যন্ত গর্বের। বিশ্ব দরবারে কলকাতা (Kolkata) যে এমন একটি স্থানে পৌঁছাতে পারবে তা সত্যি কল্পনা করা যায় না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংবাদটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়েছেন সকলকে। তিনি গোটা শহর কলকাতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মহলে এত বড় স্বীকৃতি পাবার পর।
আরো পড়ুন: নতুন বছরে কলকাতা পেতে চলেছে এক নতুন উপহার, শুরু হবে ইয়েলো লাইন
একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা সমীক্ষা চালিয়েছে এবং এই সমীক্ষার ভিত্তিতে ভ্রমণ ও অবসর কাটানোর জন্য বিশ্বের সেরা ২৫টি শহরের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় কলকাতার স্থান পেয়েছে ১৯তম। ২০২৪ সালের এই সমীক্ষাতে ভারতের তিনটি শহরের নাম উঠে এসেছে। কলকাতা (Kolkata) ছাড়া তালিকায় রয়েছে রাজস্থানের দুটি শহর উদয়পুর ও জয়পুর। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উদয়পুর। জয়পুর রয়েছে ২১তম স্থানে।
আরো পড়ুন: মেট্রোর তরফ থেকে দেওয়া হল বড় আপডেট, আদৌ কি চালু হবে হাওড়া-সল্টলেক মেট্রো
কলকাতা যে শুধু ভ্রমণ এবং অবসর কাটানোর শহর তা কিন্তু নয়, কলকাতা ১১তম স্থান দখল করেছে দ্রুত উন্নয়নশীল শহর হিসাবে। আন্তর্জাতিক মহলে এই সম্মান সত্যি প্রশংসনীয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বায়ুর গুণমান সূচকে বিশ্বের অন্যতম সেরা শহর কলকাতা এমনটাই জানিয়েছে আইআইটি দিল্লি। বায়ুর গুণমান সূচকে মে মাসে বিশ্বের বড় শহরগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে ছিল কলকাতা।
মুখ্যমন্ত্রী তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন, কলকাতা (Kolkata) হল এমন একটি শহর যেখানে আধুনিকতা এবং ঐতিহ্য একসাথে মিলেমিশে চলে। এই দুইয়ের মেলবন্ধনে এক নতুনরূপে ধরা দিয়েছে কলকাতা। মুখ্যমন্ত্রী এমনটাও জানিয়েছেন যে, রাজ্যবাসীর সহযোগিতা ছাড়া এটি একেবারে অসম্ভব ছিল। কলকাতা প্রমাণ করে দিয়েছে যে কিভাবে ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে, আধুনিকতাকে পথপ্রদর্শক করে উন্নতি করা যায়।