China in Space: মহাকাশে শুধুমাত্র আমেরিকা কিংবা রাশিয়া নিজেদের একাধিপত্য কায়েম করতে পেরেছে একথা কিন্তু সত্যি নয়। বর্তমানে বহু দেশ তাদের উন্নত প্রযুক্তির জন্য মহাকাশের যাত্রা সফল করতে পেরেছে। আমেরিকা এবং রাশিয়ার আধিপত্যের দিন এখন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। আজকের এই প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে সেটাই আলোচনা করা হবে।
একদিকে ভারতের ইসরো নতুন নতুন উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পের মাধ্যমে সফলতার শিখরে পৌঁছেছে। ইসরোর সাফল্য গোটা বিশ্ব জানে। এছাড়াও আরব দেশও কিন্তু এখন আর পিছিয়ে নেই। গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে নয়া মাইলফলক ছুঁতে মরিয়া চীন(China in Space)। গত বুধবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ মহাকাশে পাড়ি দিলেন তিন চীনা মহাকাশচারী। এই তিনজনের মধ্যে একজন কিন্তু মহিলা নভোচর। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ছমাস তাঁরা মহাকাশে থাকবেন।
আরো পড়ুন: নতুন ফিচার আনলো গুগল, ফোন চুরি করে পার পাবে না চোর
লং মার্চ-২এফ রকেটের সাহায্যে বুধবার দিন ঠিক ৪টে ২৭ মিনিটে গানসু প্রদেশের মঙ্গোলিয়ার জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে সিনঝাউ স্পেসশিপ পাড়ি দিল মহাকাশে(China in Space)। খুব সহজেই মহাকাশযান পেরিয়ে গেল পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের বাধা। এটি হলো চীনের চতুর্দশ মহাকাশ অভিযান। এই মহাকাশযাত্রার দলে কারা রয়েছে এক নজরে দেখে নিন, ৪৮ বছরের কমান্ডার কাই জুঝে, ৩৪ বছরের সং লিংডং এবং ৩৪ বছরের ওয়াং হাওজে।তৃতীয় নভোচরই মহিলা মহাকাশচারী। চীনের প্রথম মহিলা স্পেসফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার। সং ও ওয়াংই চিনের সবচেয়ে তরুণ মহাকাশচারীর তকমা পাচ্ছেন।
আরো পড়ুন: সঞ্জীব শর্মার মহাকাশে উড়ান, ভারতীয় রেল থেকে স্পেসএক্সের প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার অসাধারণ কাহিনী
মহাকাশযাত্রার দিক থেকে চীন (China in Space) এখন পেছনে ফেলে দিয়েছে অন্যান্য শক্তিশালী বহু দেশকে। বর্তমানে চীন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের পর নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করেছে। চীনদেশের তিন নভোচরের লক্ষ্য হলো তিয়াংগং স্পেস স্টেশন। ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল ওই স্পেস স্টেশনে যায় চীনা মহাকাশচারীদের এক দল। এইমাসের ৩ নভেম্বর সেইসব মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফেরার পালা।
তারা পৃথিবীর বুকে ফিরে আসলে দায়িত্ব বুঝে নিতে প্রস্তুত আরো নতুন তিনজন মহাকাশচারী। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এপ্রিল কিংবা মেয়ে পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নতুন তিন মহাকাশচারী সামলাবেন মহাকাশ স্টেশনের পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ। এই ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষামূলক কার্যকলাপের দাঁড়ায় চীন তাদের মাটি শক্ত করছে মহাকাশে। মোটের উপর বলা যায় যে, বেজিংয়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষী মিশনগুলি এখন যাত্রার দিন গুনছে। দ্রুতহারে এই কাজ এগোনোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বুধবার এই সাফল্য আরও একধাপ এগিয়ে দিয়েছে চীনের মহাকাশযাত্রাকে।