Vacancies in Schools: বর্তমানে চাকরির বাজার এতটাই খারাপ যে অগণিত যোগ্য মানুষেরা বেকার হয়ে দিন কাটাচ্ছে। এর পেছনে দুটি কারণ রয়েছে এক – কর্মসংস্থানের অভাব আর দুই – দুর্নীতি। দুর্নীতি কেবলমাত্র রেশন সামগ্রী নয়ছয় নয় বা গরু পাচারে নয়, দুর্নীতি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও প্রচুর পরিমাণে হচ্ছে। অযোগ্য ব্যক্তিরা মোটা টাকার বিনিময়ে ভালো ভালো পদ দখল করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। অপরদিকে যোগ্য ব্যক্তিরা যথোপযুক্ত টাকা না দেওয়ার ফলে পিছিয়ে পড়ছে এই চাকরি পাওয়ার দৌড় থেকে। বিশেষ করে স্কুলগুলিতে এখন কতগুলো শূন্যপদ (Vacancies in Schools) রয়েছে সেটি জানা ভীষণ দরকার।
অনেকের মনের প্রশ্ন হতে পারে যে অযোগ্য ব্যক্তিরা চাকরি পাওয়ার পরে তারা কিভাবে সরকারি কাজকর্ম ম্যানেজ করছে। তবে এই প্রশ্নের উত্তর বোধহয় আলাদা করে দিতে হবে না। তার কারণ সরকারি ক্ষেত্রে গাফিলতি যে ছবি বারংবার উঠে আসছে সেগুলিই তার প্রমান। আজকের প্রতিবেদনে এমন একটি কথা শেয়ার করতে চলেছি যা স্পষ্টভাবে বলে দেবে যে এই দুর্নীতির জন্য বড় বড় দায়িত্ব সম্পন্ন পদেও বসে রয়েছে অযোগ্য ব্যক্তিরা। যার জন্য পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়গুলিতে কত শুন্যপদ (Vacancies in Schools) রয়েছে সেটি অজানা।
আরো পড়ুন: দানার পরেই চোখ রাঙ্গাচ্ছে নতুন ঘূর্ণিঝড়, কবে আসছে জানুন বিস্তারিত
অনিমেষ হালদার পেশায় একজন শিক্ষক, বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। তিনি শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। যার ফলে শিক্ষকতা ছাড়াও শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন দায়িত্ব সামলে থাকেন। বিশেষত শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কিছু দায়িত্ব থাকে তার ওপর। বদলি সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে তিনি শিক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি তথা SPIO-এর কাছে RTI করেন। আর তারপরে উঠে আসে এক অবাক করা তথ্য
আরো পড়ুন: বাংলা আবাস ঘরের আবেদনকারীরা চটপট ডাউনলোড করুন লিস্ট, দেখে নিন নিজেদের নাম
এই RTI-এর আবেদন প্রথমে পৌঁছায় শিক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারির কাছে। তারপর যায় স্কুল শিক্ষা কমিশনারের এসপিআইওর হাতে। অবশেষে হাতে এসে পৌঁছায় গ্রান্ট ইন এইড সেকশনের। RTI-তে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে বর্তমানে বিদ্যালয়গুলিতে কটি শূন্যপদ (Vacancies in Schools) রয়েছে। আর এই প্রশ্নের উত্তর শুনে হতবাক হয়েছেন সকলে। বিকাশ ভবনের কাছে কোন হিসেব নেই এমনটাই জানিয়েছে তারা।
ইতিমধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়ে একের পর এক মামলা চলছে। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টে একের পর এক বিচার চেয়ে রয়েছে বহু চাকরি প্রার্থীরা। তার মধ্যে এরকম একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সকলের মধ্যে এক গভীর কৌতুহলের সৃষ্টি করছে। শূন্যপদ জানাটা সকল শিক্ষকদের কাছে অত্যন্ত জরুরি। হয়তো সরকারের চাপে এই তথ্য লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। তবে এই তথ্য প্রকাশ না হলে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন কিন্তু বেড়েই চলবে।