Colour Changing Flower: আমাদের পৃথিবীতে কত কিছুই রয়েছে অবাক করার। গাছ-পালা, কীট-পতঙ্গ, প্রাণী সব কিছুতেই রয়েছে বৈচিত্র। এমনই একটি ফুল নিয়ে আজ আলোচনা করব যেটি দিনের তিনটি আলাদা আলাদা সময়ে তিনটি আলাদা আলাদা বর্ণ ধারণ করে। এর এই অভিনব বৈশিষ্টের জন্য বিপুল জনপ্রিয় এই ফুলটি। বিশেষ করে যারা বাগান করতে ভালবাসেন তাদের প্রায় সবারই পছন্দের তালিকায় থাকে এই ফুলের নাম। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই ফুলের রহস্য।
দিনে তিনবার রং বদলায় এই ফুল (Colour Changing Flower)। সকালে সাদা, বিকেলে গোলাপী এবং সন্ধ্যায় লাল রঙে বাগানের শোভা বাড়িয়ে তোলে কয়েক গুণে। স্থানীয় ভাষায় একে পদ্ম বলা হলেও এটি জলের পদ্ম নয়। তাই অনেকে একে স্থল পদ্মও বলে থাকেন। ইংরেজিতে এর নাম Land Lotus বা Hibiscus Mutabilis! বাগান করার ক্ষেত্রে এই গাছ অর্ডার করে থাকেন অনেকেই। প্রতিদিন একটি বা দুটি নয় বরং গাছ আলো করে ফুল দেয় বলে আরও বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই গাছটি।
আরো পড়ুন: এই সবুজ সবজি খেলে কমবে কোলেস্টেরল এবং ওজন; জানুন যাবতীয় খুঁটিনাটি
ফুল কার না প্রিয়। তাও যদি দিনে তিনবার রং বদলানো ফুল (Colour Changing Flower) হয় তবে তো কথাই নেই। পদ্ম ফুল ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে হিন্দু পুরাণের সাথে। বলা হয় পদ্ম ফুলের সৃষ্টি হয়েছে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের নাভি থেকে। এছাড়াও ব্রহ্মদেবের জন্মও হয় পদ্ম থেকে। এছাড়া দেবী লক্ষ্মীর আসন এই পদ্ম। তাই জল পদ্মের মতো এই স্থল পদ্মেরও গুরুত্ব অপরিসীম ধরা হয়। শীতের শুরুর আগে থেকেই অর্থাৎ অল্প শীতের আমেজ এলেই বাগানে গাছ ভরে ফুল দিতে থাকে।
আরো পড়ুন: বাসে ট্রেনে পাওয়া যায় সবুজ মটর, কিনে খাওয়ার আগে ১০ বার ভাবুন
পদ্ম পবিত্রতা এবং ইতিবাচক মনোভাবের প্রতীক। পদ্ম ধারণে মানসিক শান্তি আসে এবং নেতিবাচক ভাবনা দুর হয়। তবে এই পদ্ম ফোটে পাঁকে। অন্যদিকে এই স্থল পদ্ম খুব স্বল্প যত্নে ফুল দিতে পারে। পরিমাণ মতো জল পেলেই আপন খুশিতে বেড়ে উঠে বাগানের শোভা বাড়িয়ে থাকে। তাই ছোট বাগানে বা বাড়ির প্রবেশের ধারে এই গাছ বসালে এর ফুলের শোভা ছড়িয়ে দেয়।
তবে এই স্থল পদ্মের কয়েকটি ধরন রয়েছে। যার মধ্যে একটি ফুল ফোটার সময় থেকে শেষ পর্যন্ত গোলাপী বর্ণেরই থাকে। একটি রয়েছে সাদা যেটি ফোটার সময় থেকে শেষ অবধি সাদা বর্ণের থাকে। আরেকটি রয়েছে সাদা বর্ণের যেটি দিনের তিন সময় তিন রকম রং (Colour Changing Flower) ধারণ করে থাকে। আর সেই জন্যই বাগান তৈরির ক্ষেত্রে পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকে এই ধরনটি। এর ফুলের মেলা দেখলে মানসিক শান্তি আসে।