Israel-Iran War: শত্রু মোকাবিলা করতে ইজরায়েলের অন্যতম অস্ত্র আয়রন বিম, কিভাবে হবে শত্রুদমন

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Israel-Iran War: আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ইজরায়েল এবং ইরানের দ্বন্দ্ব এক নয়া রূপ নিয়েছে। গোটা বিশ্ব এখন এই বিষয়টি নিয়েই চিন্তিত। সম্প্রতি মৃত্যু ঘটেছে হেজবোল্লা প্রধানের। সেই মৃত্যুর বদলা নিতে ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। চুপ থাকেনি ইজরায়েলও। সম্প্রতি ইজরায়েল এই হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে। এই যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে। এই পরিস্থিতিতে কোন নতুন অস্ত্রের সন্ধান পেল ইজরায়েল?

Advertisements

মধ্যপ্রাচ্যে যত দিন যাচ্ছে ততই কালো হচ্ছে যুদ্ধের মেঘ। যুদ্ধের (Israel-Iran War)পরিণতি কি হবে সেটাই সবথেকে চিন্তার বিষয়। কঠিন এই সময়ই যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন হাতিয়ার নিয়ে হাজির ইহুদি ফৌজ।কোন নতুন অস্ত্র আসলো তাদের হাতে? আজকের প্রতিবেদনে জানুন বিস্তারিতভাবে।

Advertisements

সম্প্রতি ইজরায়েল যে অস্ত্র ব্যবহার করছে তা বিশ্বের শক্তিশালী অস্ত্রের মধ্যে অন্যতম। আয়রন বিম হলো একটি শক্তিশালী লেজার, খুব শীঘ্রই ইজরায়েল(Israel-Iran War)তা ব্যবহার করা শুরু করবে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করছে যে, এক বছরের মধ্যেই এটি কার্যকর হয়ে যাবে। আয়রম বিমের নামকরণ করা হয়েছে ‘নতুন যুগের অস্ত্র’। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকই এই নতুন নাম দিয়েছে ‘অদৃশ্য’ এই লেজার রশ্মিকে।

Advertisements

আরো পড়ুন: জিন্সের প্যান্টের পকেটে কেন থাকে ছোট তামার বোতাম

আয়রন বিম আসলে কি? শত্রুর মোকাবিলা করতে আইডিএফ এতদিন আয়রন ডোম ব্যবহার করছিল। খুব সহজেই বিখ্যাত এই মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিপক্ষের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রকে গুড়িয়ে দিতে পারে। প্রথম এটি কাজ করা শুরু করেছিল ২০১১ সালে। কিন্তু এতে ছিল একাধিক ত্রুটি। বেশি বিপদে এই অস্ত্র কার্যকরী ছিলনা। ধরুন এই হাতিয়ারের পক্ষে রাডারের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অল্প উচ্চতায় উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকানো সম্ভব ছিলনা। সেই কারণেই নয়া হাতিয়ার হাজির করেছে তেল আভিভ।

বহুদিন আগে থেকেই আয়রন বিম নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ২০২১ সালে এর প্রথম নমুনা তৈরি হয়েছিল। ১০০ কিলোওয়াটের লেজার বিম তথা রশ্মি ছোড়ার ক্ষমতা রয়েছে আয়রন বিমের।এই নয়া যুগের অস্ত্র ইজরায়েল ইরান যুদ্ধে (Israel-Iran War)খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যার পাল্লা সাত কিলোমিটার অর্থাৎ আকাশপথেই শত্রুর ছোড়ী ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, রকেট সবই ধূলিসাৎ করে দেবে নিমেষেই। সবথেকে বড় বিষয় হল এটি অদৃশ্য, তাই বিপক্ষ একে চিহ্নিত করে সতর্কও হতে পারবে না। কিন্তু তাও সমস্যা রয়ে গেছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অর্থাৎ কম দৃশ্যমান অবস্থার মধ্যে ভালোভাবে কাজ করতে পারবে না নয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র।

Advertisements