Motor Vehicles Rules: গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চলতে হয় চালককে। সকলেই আশা জানেন পণ্যবাহী গাড়ি চালাতে গেলে চালককে অবশ্যই ভারীযানের লাইসেন্স রাখতে হয়। কিন্তু এটা কি জানেন যদি চালকের কাছে ছোট চার চাকার গাড়ির লাইসেন্স থাকে সেক্ষেত্রেও চালাতে পারবে পণ্যবাহী গাড়ি। এমনটাই সিদ্ধান্ত দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। কিন্তু এই নয়া নিয়মের পিছনেও রয়েছে বিশেষ কিছু শর্ত। পণ্য বোঝাই না করা অবস্থায় ওই গাড়ির ওজন সাড়ে সাত হাজার কেজির কম হতে হবে। যেসব মাঝারি মাপের ট্রাক আছে সেগুলোও কিন্তু এর আওতায় পড়বে।
এই মামলাটির শুনানি চলছিল বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি হৃষীকেশ রায়, বিচারপতি পিএস নরসিংহ, বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে। ভারতে গাড়ির বিভিন্নতা অনুযায়ী চালকদের লাইসেন্সেরও (Motor Vehicles Rules)বিভিন্নতা থাকে। গিয়ারবিহীন স্কুটারের জন্য এক রকমের লাইসেন্স আবার বাইকের জন্য অন্য এক ধরনের লাইসেন্স।
পাশাপাশি যেসব ব্যক্তিদের কাছে রয়েছে ছোট চার চাকার গাড়ি তাদের জন্য কিন্তু একধরনের লাইসেন্স। আবার ভারী গাড়ি অর্থাৎ পণ্যবাহী গাড়ি যেসব চালকেরা চালান তাদের জন্য একেবারে আলাদা লাইসেন্স। কিন্তু সুপ্রিমকোর্টে বুধবার যে রায় ঘোষণা হয়েছে তাতে এক নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া (Motor Vehicles Rules)হয়েছে। পণ্য বোঝাই না করা অবস্থায় কোনও পণ্যবাহী গাড়ির ওজন সাড়ে সাত হাজার কেজির কম হলে, তা কি বিবেচনা করা হবে ছোট গাড়ি হিসেবে।
অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় গাড়ির মালিকদের ছোট চার চাকার গাড়ি চালানোর লাইসেন্সে পণ্যবাহী গাড়ি চালাতে গিয়ে বিভিন্নরকম সমস্যায় পড়তে হয়। এমন অভিযোগ প্রায়ই সামনে এসেছে। প্রথমে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই বিষয়ে মামলা চলছিল। ২০২২ সালে এই মামলাটি শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হয়েছিল। সাংবিধানিক বেঞ্চ মোট ৭৬ জন মামলাকারীর বক্তব্য শুনেছিল। সুপ্রিমকোর্ট ২১শে আগস্ট পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রাখে। পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বুধবার সেই রায় ঘোষণা করে।
এই রায় জানিয়েছে সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতিই। তাদের সম্মতি অনুসারে এই নয়া রায় প্রকাশ্যে এসেছে। রায় লিখেছেন বিচারপতি হৃষীকেশ রায়। নতুন এই রায়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, দেশের বহু মানুষ এমন আছেন যারা বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে দেন গাড়ির মধ্যে, তারা উত্তর চাইছে আদালতের কাছে। শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিচার করলে তাদের অভিযোগকে সরিয়ে রাখা ঠিক হবে না। সেই কারণেই গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে এক নয়া নিয়মের (Motor Vehicles Rules) উদ্ভাবন হল।