Honda CUV e: যতদিন যাচ্ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি মার্কেটে বৈদ্যুতিক বাইক এবং স্কুটারের চাহিদাও আগে থেকে অনেকাংশে বেড়ে গেছে। পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে সরকারের তরফ থেকেও এ বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। Honda হল দু চাকার দুনিয়ায় একটি জনপ্রিয় নাম। সম্প্রতি তার সর্বশেষ বৈদ্যুতিক অফার, CUV e উন্মোচন করেছে।
আধুনিক প্রযুক্তির এই বৈদ্যুতিক স্কুটার (Honda CUV e) মানুষের গতিশীলতাকে এক নতুন নাম দিয়েছে। সংখ্যার পক্ষ থেকে অবশ্য জানা গেছে এই স্কুটারটি হল বিশ্বের প্রথম V3 er ইঞ্জিন লেআউট। এই স্কুটারটিতে রয়েছে সামনে দুটি সিলিন্ডার এবং পিছনে একটি সিলিন্ডার। সংস্থার পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে যে তারা বৈদ্যুতিক মোপেড প্রদর্শনের দু বছরের মাথাতেই লঞ্চ করতে চলেছে এই নয়া স্কুটার। গ্রাহকদের মধ্যে হোন্ডার এই বৈদ্যুতিক স্কুটার নিয়ে উত্তেজনার রীতিমতো তুঙ্গে।
আরো পড়ুন: কম বাজেটে ই-সাইকেল কিনবেন, খরচ করতে হবে মাত্র ২ হাজার টাকা
CUV e একটি (Honda CUV e) ভবিষ্যৎ ডিজাইনের প্রতিচ্ছবি। কথাটি আজকাল খুব প্রচলিত হলেও এর অর্থ হল Clean Urban Vehicle। অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী স্কুটারে থেকে এটি একেবারে আলাদা। এর অ্যারোডাইনামিক লাইন এবং অত্যাধুনিক ফিচারস এর জন্য রাস্তায় সকলের কাছে এটি আকর্ষণীয় হতে চলেছে। স্কুটারের ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এক নজরে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে। পরিবেশ বান্ধব এই স্কুটারটি মার্কেটে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করবে এমনটাই আশা করছে সংস্থা।
আরো পড়ুন: রয়্যাল এনফিল্ডের ই-বাইকে এক চার্জেই যাওয়া যাবে ১৫০ কিমি
স্কুটারে (Honda CUV e) ব্যবহারকারী ব্যাটারি এক চার্জেই ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত মাইলেজ দেবে এবং এর সঙ্গে সংযুক্ত করা যাবে স্মার্টফোন। স্কুটারটিতে রয়েছে তিনটি রাইড মোড। একক চার্জে ৭০ কিলোমিটারের দাবিকৃত পরিসীমা সহ, CUV e দৈনন্দিন যাতায়াত এবং ছোট ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত। এর স্লিক ডিজাইন এবং এলইডি লাইট ক্রেতাদের মন জয় করবে অবশ্যই। যাদের সহজেই চার্জ দেওয়া যায় তার জন্য অপসারণযোগ্য ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি এতে পাওয়া যাবে ইউএসবি চার্জিং পোর্ট, টি এফ টি ডিসপ্লে এবং বিভিন্নরকম কানেক্টিভিটির অপশন।
Honda CUV e এখনো পর্যন্ত ভারতের লঞ্চ হয়নি। বৈদ্যুতিক গতিশীলতার বিবর্তনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করে এই স্কুটারটি। এর মসৃণ নকশা, চিত্তাকর্ষক পরিসর এবং সুবিধাজনক বৈশিষ্ট্যগুলি এটিকে একটি টেকসই এবং আড়ম্বরপূর্ণ যাত্রার জন্য শহুরে যাত্রীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিকল্প করে তুলতে পারে। ভারতে এখনো অব্দি এই ধরনের স্কুটারের প্রচলন ঘটেনি। তবে হোন্ডা যদি একবার এই স্কুটারটি লঞ্চ করতে পারে তাহলে ভারতীয় বাজারে এটি একটি মাইলফলক স্থাপন করবে। বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রযুক্তির অগ্রগতি অব্যাহত থাকায়, CUV-এর মতো আরও উদ্ভাবনী এবং পরিবেশ-বান্ধব মডেল দেখার আশা করতে পারি যা পরিবহণের ভবিষ্যতকে রূপ দেয়।