Tilpara Mihirlal Barrage: স্বাধীনতা সংগ্রামী মিহির লাল চট্টোপাধ্যায়ের নামে তৈরি হওয়া তিলপাড়া মিহির লাল সেতুর নিচে রয়েছে এমন এক ধাতব কাঠামো যা সাধারণত কেউ দেখেননি বললেই চলে। বীরভূমের সিউড়িতে ময়ূরাক্ষী নদীর উপর এই সেতুর উদ্বোধন হয়েছিল স্বাধীনতা লাভের চার বছরের মধ্যে। সেই সময় এই সেতু তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ১.১ কোটি টাকা এবং তা বেশ সময় সাপেক্ষ ছিল। স্বাভাবিকভাবেই এত বছর আগে তৈরি এই সেতুর নিচে ঠিক কি রয়েছে তা এখনকার মানুষদের না দেখাটাই স্বাভাবিক, এবং যারা দেখেওছেন তাদেরও তা মনে রাখা অনেকটাই কষ্টকর।
তিলপাড়া সেতুর নিচে রয়েছে বিশাল একটি ধাতব কাঠামো। যে কাঠামো একেবারে নিচের অংশে থাকার কারণে তা দেখা যায় না। ধাতব ওই কাঠামোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বালি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে যাতে করে ব্রিজের কোনো ক্ষতি না হয়। সম্প্রতি এমন কাঠামো নজরে আসে যখন ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আধিকারিকরা পৌঁছান ওই ব্রিজের একেবারে নিচের অংশে। এই কাঠামো দেখে সাধারণ মানুষরা অবাক হওয়ার পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন স্তরে আলোচনাও শুরু হয়েছে।
আরো পড়ুন: এখনো ঠিক হলো না ধর্মতলা থেকে শিয়ালদা মেট্রোর দিনক্ষণ, কবে হবে শুরু!
তিলপাড়া ব্রিজের (Tilpara Mihirlal Barrage) নিচে যে বিশাল ধাতব কাঠামো রয়েছে সেই কাঠামোর মধ্যে যে বালি ছিল সেই বালি এখন উধাও হয়ে গিয়েছে অতি বৃষ্টির কারণে। আর এর ফলেই এখন ব্রিজের স্বাস্থ্য নিয়ে শুরু হয়েছে চিন্তা। তিলপাড়া ব্রিজ নিয়ে বৈঠকে বীরভূম জেলা প্রশাসনের সেচ দপ্তরের তরফ থেকে ব্রিজের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী।
আরো পড়ুন: এইবার ছুটিতে অন্য কোথাও নয়, ছুটে যেতেই হবে দিঘার ঢেউ সাগর
১৫ গেটের তিলপাড়া ব্যারেজের একেবারে নিচের অংশে রয়েছে এই ধাতব কাঠামো। ধাতব ওই কাঠামোটি বড় বড় গোডাউনের সমান। ওই কাঠামোয় বালি ভর্তি থাকে। ধাতব ওই কাঠামোর উপর রয়েছে পাথর, কংক্রিট সহ অন্যান্য কাঠামো। ধাতব কাঠামোর উপর কংক্রিটের কাঠামোর উপর দিয়ে জল বয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই একেবারে নিচের অংশে থাকার ধাতব কাঠামো কারো চোখে আসে না। এমনকি পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দল এসে এইভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা না করলেও ওই কাঠামো সাধারণ মানুষদের নজরে আসতো কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
১৯৫১ সালে তৈরি হওয়া তিলপাড়া মিহিরলাল ব্যারেজ (Tilpara Mihirlal Barrage) এখন ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর ময়ূরাক্ষী নদীর এক পাড়ের সঙ্গে অন্য পাড়ের যোগাযোগের অন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। স্বাভাবিকভাবেই এই ব্রিজের উপর বিপুল পরিমাণ যানবাহনের চাপ থাকে। এরই মধ্যে ব্রিজে ফাটল, একেবারে নিচের ধাতব কাঠামোর ভিতর থেকে বালি সরে যাওয়া ইত্যাদি রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।