DY Chandrachud: বিশেষভাবে সক্ষম দুই কন্যা! বাবা হিসেবে প্রাক্তন বিচারপতি যা করলেন শুনে চোখে জল আসতে বাধ্য

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

DY Chandrachud: দেশের বিচারপতিদের মধ্যে অন্যতম বিচারপতি চন্দ্রচূড়। বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে তাঁর। যেভাবে কাজ করে গেছেন তাতে করে নাম-যশের অভাব নেই জীবনে। কিন্তু এত আড়ম্বর জৌলুসপূর্ণ জীবনেও যেন তিনি সুখী নেই। কর্মবিরতি পেলেও তাঁকে চালিয়ে যেতে হচ্ছে তীব্র লড়াই। আর সেই তীব্র লড়াইয়ের কারণ হলো তার দুই বিশেষভাবে সক্ষম কন্যা। আর সেই গল্পই (DY Chandrachud) সকলকে জানালেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। যা শুনলে বিচারপতিকে কুর্নিশ না জানিয়ে থাকতে পারবেন না।

Advertisements

প্রসঙ্গত দেশের প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) দুই কন্যা রয়েছে। সেই দত্তক নেওয়া দুই কন্যা বিশেষভাবে সক্ষম। নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই সেই দুই মেয়ের। তবে এর জন্য থেমে থাকেনি প্রাক্তন বিচারপতি। বরং সাধারণ মানুষের মতোই বড় করেছেন তার দুই বিশেষভাবে সক্ষম কন্যাকে। যার পিছনে রয়েছে এক অসম লড়াই। আর সেই গল্পই সকলের সাথে ভাগ করে নিলেন চন্দ্রচূড়বাবু।

Advertisements

আরো পড়ুন: আম্বানিরা কোটি কোটি টাকার উপহারে ভরালেন পুত্রবধূদের

সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই শিশু কন্যার ছবি পোস্ট করেন প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রচূড়বাবু (DY Chandrachud)। আর সেখানেই তাঁর মেয়েদের জীবনের বড় হয়ে ওঠার গল্প শেয়ার করেন বিচারপতি। তিনি বলেন যে ২০১৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন তাঁর দুই শিশুকন্যা। উত্তরাখণ্ডে জন্ম তাঁর দুই কন্যার। আর জন্মের পর থেকেই এক জেনেটিক রোগে আক্রান্ত হয় তাঁর দুই কন্যা। রোগের নাম নিমোলিয়ান মায়োপ্যাথি। দেশে সেই সময় এই রোগ পরীক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তখন সেই রোগ ধরার জন্য অ্যানাস্থেশিয়া ছাড়া শরীর কেটে টিস্যু নিয়ে লখনৌতে পরীক্ষা করান বিচারপতি। যা খুবই কষ্টদায়ক। সেই কষ্ট অনুভব করে বড় মেয়ে বলেন এই পরীক্ষা যেন তার বোনের ওপর না করা হয়। এইভাবেই বড় হয়ে ওঠে তার দুই কন্যা।

Advertisements

আরো পড়ুন: জানেন কি টাটা পরিবারের সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, শুনলে চমকে যাবেন

তবে এখানে লড়াই শেষ হয়ে যায়নি। দুই কন্যার পড়াশোনা নিয়েও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে বিচারপতিকে। তিনি তাঁর মেয়েদেরকে দেখতেন স্কুল ব্যাগ, টিফিন বক্স, জলের বোতল নিয়ে খেলা করতে। যা দেখে তিনি বুঝেছিলেন তাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ রয়েছে। আর এই দেখে বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য রয়েছে এমন স্কুলের খোঁজ করেন। যা উত্তরাখণ্ডে ছিল না এর জন্য চলে আসেন এলাহাবাদে। পরবর্তীতে দিল্লিতেও এধরনের একটি স্কুলের খোঁজ পেয়ে যান। কিন্তু সেখান থেকে বলা হয় ওরা জেনেটিক রোগে আক্রান্ত। ওরা যে কোনো সাধারণ স্কুলে পড়তে পারে। তবে এক্ষেত্রেও সাধারণ স্কুলে ভর্তি করতে গিয়ে ঝক্কি পোহাতে হয় চন্দ্রচূড়বাবুকে (DY Chandrachud)।

স্কুল তরফে বলা হয় তাঁর দুই কন্যাকে দেখাশোনা খেয়াল রাখার জন্য বন্ধু হিসেবে কাউকে রাখা হবে। তবে সমস্ত কিছু ঠিক হওয়ার পরেও লড়াই থেমে থাকেনি। স্কুলে মেয়েদের ভর্তি করার পর লড়াইটা শুরু হয় মেয়েদের নিজেদেরই। স্কুলের পড়াশোনায় নানা সমস্যায় পড়তে হয় মেয়ে দুটিকে। লিফট, র‍্যাম্প না থাকার কারণে মেয়ে দুটি সাইন্স ল্যাবে যেতে পারত না। যেকোনো পড়াশোনা বিষয়ক যুক্তি তর্কে অংশগ্রহণ করতে পারত না। তাদেরকে ক্লাসে বসে থাকতে হতো। তবে এই সমস্ত বিষয়কে হার মানিয়েছে তাদের মূল্যবোধ। যা তাদের জীবন এবং প্রতিষ্ঠান পাল্টে দিয়েছে। কি এমন করেছিলেন বিচারপতির দুই কন্যা?

এ বিষয়ে প্রাক্তন বিচারপতি জানান করোনাকালীন সময়ে স্কুলের ক্লাস চলাকালীন গাছ কাটার আওয়াজ পায় তার মেয়ে। যা শুনে বুঝতে পেরে ক্লাসের শিক্ষিকার অনুমতি নিয়ে বাইরে গিয়ে দেখে গাছ কাটা হচ্ছে। যা দেখে তৎক্ষণাৎ কাঠুরিয়াকে গাছ কাটতে বারণ করেন বিচারপতির কন্যা। কাঠুরিয়াদের বলেন গাছ কাটবে না। কারণ এই গাছ অনেকের কাছে ছায়া। অনেকের থাকার ঘর। এই মূল্যবোধ দেখে অবাক হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানের সকলে। যা প্রতিষ্ঠানকে বদলে দেয়। আর এই গল্পই শেয়ার করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বিচারপতি চন্দ্রচূড়বাবু (DY Chandrachud)। যা অনেকেই জানতেন না।

Advertisements