History of Wearing Tie: অফিসের ইন্টারভিউ হোক কিংবা বড় কর্পোরেট পার্টি পুরুষের গলায় টাই না থাকলে যেন বেমানান লাগে এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে। টাই এমন একটি জিনিস যার ছোট্ট উপস্থিতি মানুষের মর্যাদাকে অনেকটাই বৃদ্ধি করে। কিন্তু তাই বলে যে সব সময় টাই পড়া হয় এমনটি কিন্তু মোটেও নয়। একমাত্র বিশেষ বিশেষ কারণ ছাড়া সাধারণ পোশাকের সঙ্গে তাই মানানসই নয়। তবে এই টাই এর পেছনে রয়েছে এক বিস্তার ইতিহাস, যা অনেকেরই অজানা। আজকের প্রতিবেদনে বলবো টাই এর ইতিহাস (History of Wearing Tie)।
প্রাচীন চীনা যোদ্ধাদের প্রথম গলায় স্কার্ফ জড়াতে দেখা যায়। ২০০০ বছরের পুরানো পোড়ামাটির মূর্তিগুলি থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে যোদ্ধারা তাদের গলায় রেশম পরা। এটি সম্ভবত তাদের শক্তির চিহ্ন ছিল এবং রাজকীয় পরিচয় প্রকাশের মাধ্যম ছিল। ১৭ শতকে রাজা লুই XIII এর সৌজন্যে টাই জনপ্রিয়তা লাভ করে। আর এটি টাই এর ইতিহাস (History of Wearing Tie) হিসেবে কথিত।
৩০ বছরের যুদ্ধের সময়, ক্রোয়েশিয়ান ভাড়াটেরা যুদ্ধে রাজার সাথে লড়াই করেছিল। তাদের জ্যাকেট বেঁধে রাখার জন্য তারা একটি কাপড়ের টুকরো ব্যবহার করেছিল যা রাজা লুই XIII খুব পছন্দ করেছিলেন। তিনি এই স্মার্ট স্কার্ফটিকে রাজকীয় সমাবেশের জন্য বাধ্যতামূলক আনুষঙ্গিক করে তোলেন। ক্রোয়াটদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যারা এই স্কার্ফটির প্রবর্তন করেছিলেন, তিনি এটির নাম দেন ‘লা ক্রভেট’, যা আজও নেকটাই-এর ফরাসি নাম। ফ্যাশনেবল এবং শক্তির প্রতীক হিসাবে দেখা হতো এই টাইকে।
আরো পড়ুন: বলুন তো টেবিলের বাংলা প্রতিশব্দ কি! বলতে গেলে হোঁচট খায় জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিরাও
সময়ের সাথে সাথে টাই পরার (History of Wearing Tie) মূল উদ্দেশ্যটিরও আমূল পরিবর্তন হয়েছে। কয়েক শতাব্দী ধরে বিভিন্ন টাই নট আবিষ্কার হয়েছে। যেমন সম্পূর্ণ উইন্ডসর টাই, যা বেশিরভাগ রাষ্ট্রপতির প্রিয়৷ ব্যবসায়ীরা সাধারণত ফোর-ইন-হ্যান্ড বেছে নেন। বর্তমানে টাই পেশাদারিত্ব এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে উঠেছে। তাই বেশিরভাগই অফিস বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে যাওয়ার সময় টাই পরা হয়ে থাকে।
বেশিরভাগ আধুনিক টাইগুলি সাধারণত ৫৬ ইঞ্চি লম্বা এবং ৩.২৫-৩.৫ ইঞ্চি চওড়া হয়। এগুলি ১৯২৪ সালে দর্জি জেসি ল্যাংডর্ফের দ্বারা প্রাপ্ত একটি পেটেন্টের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যদিও এখন অনেকেই টাই পরার সময় এসব খেয়াল করে না। কারণ টাই পরার সময় একটাই জিনিস মাথায় থাকে যে এটি যেন কোনোভাবে অস্বস্তির কারণ না হয়। বরং টাই পুরুষদের সৌন্দর্য ও পদমর্যাদা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।