Cauliflower: ফুলকপিও হতে পারে শারীরিক ক্ষতির কারণ, বিশেষ কিছু মানুষের উচিত সতর্কতা অবলম্বন করা। শীত আসন্ন প্রায়। আর শীতকাল মানেই একাধিক নতুন শাকসবজির মেলা এই সময় ফুলকপির চাহিদা বাড়ে খুব। স্বাদের দিক থেকে যেমন সুন্দর, তেমনই এর পুষ্টিগুণ। ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ফাইবার এবং কোলিন। একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফুলকপি। তবে ফুলকপি কিন্তু সবার জন্য উপকারী নয়। কিছু মানুষের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে।
ওয়াশিংটনের ডায়েটিশিয়ান তথা পুষ্টি ও ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ নিকোল অ্যান্ড্রুস। তিনি একাধারে লেখকও বটে। তার মতে, ফুলকপিতে (Cauliflower) যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে তাই ফুলকপির পুষ্টিগুণ অনেক। ফুলকপি শরীরের অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর মাইক্রোবায়োম তৈরি করতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীরে হজম, পুষ্টি শোষণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এই ফুলকপি কিছু মানুষের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে। জানেন কি কাদের ফুলকপি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়? আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করা হলো ফুলকপির ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে।
আরো পড়ুন: পেঁয়াজের অজানা গুণ, আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে এক অমূল্য রত্ন
ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও ফুলকপির (Cauliflower) ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। ফুলকপিতে সালফোরাফেন এবং গ্লুকোসিনোলেটের মত যৌগ রয়েছে যা ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। যার কারণে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বাধা প্রাপ্ত হয়। টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ফুলকপি অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু ফুলকপির কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। যেমন গ্যাস, অম্বল ইত্যাদি। তাই যারা এই ধরনের রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য ফুলকপি এড়িয়ে চলাই ভালো।
আরো পড়ুন: জানেন কি টাটা পরিবারের সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, শুনলে চমকে যাবেন
ফুলকপিতে (Cauliflower) অক্সালেট থাকে যা কিডনিতে পাথর তৈরিতে সহায়তা করতে পারে। তাই যদি কেউ কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে তার ফুলকপি না খাওয়াই ভালো। তা কিডনির পাথরকে বৃদ্ধি করতে পারে বহু মানুষের ফুলকপিতে এলার্জি থাকে। তাই কারো যদি ফুলকপি খেয়ে কোন শারীরিক সমস্যা হয়, তাহলেও ফুলকপি এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে এক শ্রেণী মানুষের জন্য ফুলকপি একেবারেই নিষিদ্ধ। তারা হলেন থাইরয়েডে আক্রান্ত রোগীরা। ফুলকপি টি থ্রি এবং টি ফোর হরমোনকে প্রভাবিত করে। তাই থাইরয়েড রোগীদের জন্য ফুলকপি ক্ষতিকারক হতে পারে।
ফুলকপিতে আয়োডিনের মাত্রা কম থাকায়, থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা অনেকটা কমে যায় ফুলকপির (Cauliflower) কারণে। তাই যারা হাইপো থাইরয়েডিজম বা ঐ ধরনের কোন রোগে আক্রান্ত তাদের ফুলকপি না খাওয়াই ভালো। যাদের রক্তের সমস্যা রয়েছে তাদেরও ফুলকপি খাওয়া উচিত নয়। বিশেষত যারা ব্লাড থিনিং-এর ওষুধ খান অর্থাৎ যাদের রক্ত জমাট বাধার সমস্যা রয়েছে, তাদের ফুলকপি একেবারেই নিষিদ্ধ। কারণ ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে। ভিটামিন কে রক্তকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।