Amrit Bharat Train: দেশের পরিবহন ব্যবস্থায় ভারতীয় রেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে পরিবহন ব্যবস্থায় বৃহত্তম নেটওয়ার্ক হলো ভারতীয় রেল। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী রেলের মাধ্যমে যাতায়াত করে থাকে। দূর হোক কিংবা কাছে যে কোন গন্তব্য স্থলে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় ভারতীয় রেলের মাধ্যমে। যাত্রীদের এই সুবিধার কথা মাথায় রেখে রেল কর্তৃপক্ষ একাধিক ট্রেনের সূচনা করেছেন। শীঘ্রই রাজস্থানকে নতুন উপহার দিতে চলেছে ভারতীয় রেল। রাজস্থানে প্রথম চালু হতে চলেছে ‘অমৃত ভারত ট্রেন’। যা আজমের থেকে রাঁচি হয়ে জয়পুর পর্যন্ত চালানো যাবে। ট্রেনটি সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
আশা করা হচ্ছে যে, প্রথম ‘অমৃত ভারত ট্রেন’ চলতি বছরের শেষে রাজস্থানে কাজ শুরু করবে। যাত্রীরা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এর পর এই অমৃত ভারত ট্রেন নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহিত। রেলওয়ে বোর্ডের কর্মকর্তাদের মতে, প্রথম পর্যায়ে মোট ২৬ টি রুটে অমৃত ভারত ট্রেন (Amrit Bharat Train) চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।কোন কোন রুটে চালানো হবে এই ট্রেনটি? রাজস্থানে, যোধপুর থেকে গোরখপুর এবং আজমের থেকে রাঁচি (জয়পুর হয়ে) যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বর্তমানে এই বিষয়ে রুট ও সময়সূচি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাড়াতাড়ি ট্রেন চালানো হবে এই রুটে। তবে কোন তারিখ থেকে চলবে তা বলা যাচ্ছে না।
আরো পড়ুন: রেলের দারুন উদ্যোগ, নমো ভারত ট্রেন চলবে নিউ অশোক নগর পর্যন্ত
অমৃত ভারত ট্রেন (Amrit Bharat Train) কবে থেকে চলবে এই বিষয়ে রেলওয়ে বোর্ড জোনাল রেলওয়ের সাথে ক্রমাগত বৈঠক করছে। নতুন দিল্লির আনন্দ বিহার টার্মিনাল রেলওয়ে স্টেশন থেকে দারভাঙ্গা জংশন রেলওয়ে স্টেশন, দারভাঙ্গা, বিহার পর্যন্ত প্রথম অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি নতুন স্টেশন বিল্ডিং থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী পতাকা প্রদর্শন করেছিলেন চলতি বছরের প্রথম দিকেই।
আরো পড়ুন: জেনে নিন দেশের দীর্ঘতম বন্দে ভারত সম্পর্কে, কোথা দিয়ে যাবে এই ট্রেন
অমৃত ভারত ট্রেন (Amrit Bharat Train) রাজস্থানের আজমের থেকে রাঁচি রুটে শীঘ্রই চালু হতে পারে। রেলের আধিকারিকরা বলেছেন যে, এই ট্রেনটি সম্পূর্ণ নন-এসি হবে, যাতে লিঙ্ক হফম্যান বুশ র্যাক (এলএইচবি) ব্যবহার করা হবে এবং সর্বনিম্ন ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ২২টি কোচ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এই ট্রেনের সবকটি কোচ হবে নন-এসি স্লিপার এবং জেনারেল ক্যাটাগরির। ট্রেনটির ডিজাইন সম্পূর্ণ আধুনিক চিন্তাভাবনার কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে। এই ট্রেনের ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যাতে যাত্রীরা কোনরকম অসুবিধা সম্মুখীন না হয়। ট্রেনের বগিগুলোতে অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই প্রত্যেকটি বিষয়ে তৈরি করা হয়েছে এই ট্রেনে। ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। এই গতিতে যাত্রীরা কম সময়ে এক গন্তব্য থেকে অন্য গন্তব্যে যাত্রা সম্পন্ন করতে পারবে।
ট্রেনে চুরি কিংবা ডাকাতির ঘটনা অনেক সময় শোনা যায়। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটবে না অমৃত ভারত ট্রেনে, এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছে ভারতীয় রেল। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ট্রেনের বগিগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ‘টক-ব্যাক’-এর মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যার মাধ্যমে যাত্রীরা সমস্যার সময়ে সরাসরি লোকো পাইলট এবং ট্রেন ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এর পাশাপাশি প্রতিটি কোচে ভ্যাকুয়াম বায়ো টয়লেট এবং অন্যান্য সুবিধাও দেওয়া হবে।