Purba Medinipur New Station: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে, অবশেষে সাধারণ মানুষ পেতে চলেছে নয়া হল্ট স্টেশন। বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে এই নতুন হল্ট স্টেশন তৈরীর কাজ শুরু হয়ে যাবে আগামী বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যেই। তমলুকের রাজগোদা ও পাঁশকুড়ার রঘুনাথবাড়ি রেলস্টেশনের মাঝে নীলকুণ্ঠায় নতুন স্টেশনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সাধারন মানুষ দাবি জানাচ্ছিল।
রেল দপ্তর প্রায় ১০ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলকুণ্ঠায় হল্ট স্টেশন (Purba Medinipur New Station) গড়ার অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে পিছিয়ে যায় সেই কাজ। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা এই হল্ট স্টেশন এর দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছিল। হল্ট স্টেশনের জন্য যে প্রয়োজনীয় জমির দরকার তারজন্য প্রয়োজনীয় সীমানা নির্ধারণ ইতিমধ্যেই সারা হয়ে গেছে রেল দপ্তরের। কিন্তু সেই সমস্যা থেকে গেছিল কারণ স্টেশনের জন্য কোন অর্থ বরাদ্দ হচ্ছিল না।
আরো পড়ুন: হাওড়া স্টেশন নিয়ে নতুন পরিকল্পনা রেলের, যাত্রীরা পাবেন বাম্পার সুবিধা
সম্প্রতি আন্দোলনকারীরা বিষয়টি জানিয়েছিল তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে এবং তিনি এর ব্যবস্থা নেন। রেল দপ্তরের কাছে চলতি বছরের আগস্ট মাসেই বিষয়টি নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্র গত ১৮ সেপ্টেম্বর তমলুকের সাংসদকে চিঠি দিয়ে জানান, নীলকুণ্ঠায় প্যাসেঞ্জার হল্ট স্টেশনের (Purba Medinipur New Station) ব্যাপারে রেল বোর্ড অনুমোদন দিয়েছে। এই হল্ট স্টেশন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ৫ লক্ষ ৭ হাজার ১৩৫ টাকা।
আরো পড়ুন: বাংলার ভাগ্য খুলছে বুলেট ট্রেন তৈরি সংস্থার হাতেই, কি বলছে রিপোর্ট
স্থানীয় মানুষেরা এত বছর যে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছিল অবশেষে তার সমাধান হতে চলেছে। সাধারণ মানুষের কাছে বিষয়টি সত্যিই আনন্দের। অর্থ বরাদ্দ হওয়ার ফলে খুব শীঘ্রই চালু হয়ে যাবে এই হল্ট স্টেশন নির্মাণের কাজ।
সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সোমবার নীলকুণ্ঠা এলাকায় (Purba Medinipur New Station) এসেছিলেন রেললাইন পরিদর্শন ও স্টেশন তৈরির বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই স্টেশন তৈরি যে টাকা অনুমোদিত হয়েছে তার সত্যিই অনেক বড় ব্যাপার। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে এই কাজ এবং দ্রুত কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার ফলে দ্রুত আনন্দ ছড়িয়ে পড়বে দুই গ্রামের অধিবাসীদের মধ্যে।