Ratan Tata Unknown Facts: রতন টাটা সম্পর্কে জানুন এই অজানা তথ্য, শ্রদ্ধা বাড়বে নিঃসন্দেহে

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Ratan Tata Unknown Facts: সদ্যপ্রয়াত দেশের জনপ্রিয় শিল্পপতি রতন টাটা। শিল্পজগতে এ যেন এক নক্ষত্রপতন, তার মৃত্যুর সাথে সাথেই শেষ হয়ে গেছে শিল্পজগতের এক অধ্যায়। তার সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা অনেকেই জানেনা। আজকের এই প্রতিবেদনে সেই অজানা তথ্য নিয়েই আলোচনা করা হবে। জানলে আশ্চর্য না হয়ে পারবেন না এবং রতন টাটার প্রতি শ্রদ্ধা কয়েকশ গুণ বেড়ে যাবে। টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন টাটা ছিলেন জামশেদজি টাটার যোগ্য উত্তরসূরী। কোম্পানিকে আন্তর্জাতিক স্তরে একটি উল্লেখযোগ্য স্থানে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি (Ratan Tata Unknown Facts)।

Advertisements

১৯৪৮ সালে মাত্র 10 বছর বয়সে বাবা মায়ের বিচ্ছেদের কারণে তাকে ঠাকুমা নওয়াজবাই টাটার কাছে বেড়ে উঠতে হয়েছিল। সারা জীবন অবিবাহিত হিসেবেই কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাকে ঘিরে রয়েছে কিছু মজাদার কাহিনী। প্রায় চারবার এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল যাতে তার বিয়ে পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়ে করা হয়নি তার। জীবনে নানারকম ঘাত প্রতিঘাতের কারণে সারা জীবন অবিবাহিত থেকেছেন তিনি। লস অ্যাঞ্জেলেসে কাজ করার সময়ে তিনি প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের কারণে মেয়েটির বাবা-মা তাঁকে ভারতে পাঠানোর বিরোধিতা করেন। এরপর আর বিয়ে করেননি তিনি (Ratan Tata Unknown Facts)।

Advertisements

আরো পড়ুন: মৃত্যুর পরেও নজির স্থাপন করলেন রতন টাটা, সকলের কাছে তিনি অনুপ্রেরণা

পড়াশুনাতেও তিনি ছিলেন যথেষ্ট ভালো। রতন টাটা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মুম্বইয়ের ক্যাম্পিয়ন স্কুলে পড়াশোনা করেন, এরপর তিনি পড়াশোনা করেন ক্যাথেড্রাল এবং জন কনন স্কুল এবং সিমলার বিশপ কটন স্কুলে। তিনি ১৯৫৫ সালে নিউ ইয়র্ক সিটির রিভারডেল কান্ট্রি স্কুল থেকে ডিপ্লোমা লাভ করেন। কাজের মধ্য দিয়েই নিজের সারাজীবন অতিবাহিত করেছেন তিনি এবং কাজকে সবার উপরে জায়গা দিতেন। রতন টাটা ১৯৬১ সালে টাটা গ্রুপে শুরু করে তার কর্মজীবন। তার জীবনের প্রথম কাজ ছিল (Ratan Tata Unknown Facts) টাটা স্টিলের শপ ফ্লোর পরিচালনা করা। পরবর্তীকালে অবশ্য তিনি পড়াশোনা শেষ করতে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে যান। রতন টাটা কর্নেল ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ আর্কিটেকচারেরও প্রাক্তন ছাত্র। নিজের স্বপ্ন দেখতে ভালবাসতেন এবং অপরকেও স্বপ্ন দেখার উৎসাহ যোগাতেন।

Advertisements

রতন টাটা প্রথম ২০০৪ সালে টিসিএস প্রতিষ্ঠা করেন এবং তার নেতৃত্বে, টাটা গ্রুপ ইস্পাত প্রস্তুতকারক কোরাস, ব্রিটিশ মোটরগাড়ি সংস্থা জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার এবং ব্রিটিশ চা সংস্থা টেটলির সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করে টাটা কোম্পানি। তার এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ টাটা কোম্পানিকে সারা বিশ্বের নজরে নিয়ে আসে। ২০০৯ সালে তিনি প্রথম মধ্যবিত্তের কথা চিন্তা করে মার্কেটে এনেছিলেন ১ লাখ টাকার গাড়ি যার নাম হলো টাটা ন্যানো।

আরো পড়ুন: সহানুভূতি-উদারতার অন্যতম উদাহরণ ছিলেন রতন টাটা, জেনে নিন তার সম্পর্কে কিছু কথা

নিজের সারাজীবন বিভিন্ন সেবামূলক কাজে নিয়োজিত করেছিলেন তিনি। তার উদ্যোগেই প্রথম টাটা গ্রুপ ভারতের স্নাতক শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ মিলিয়ন ডলারের টাটা স্কলারশিপ ফান্ডের ব্যবস্থা করে। ২০১০ সালে, টাটা গ্রুপ হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল (এইচবিএস)-এ একটি এগজিকিউটিভ সেন্টার নির্মাণের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেয় (Ratan Tata Unknown Facts), যেখানে তিনি তাঁর স্নাতক প্রশিক্ষণ লাভ করেন। এখানেই শেষ নয় এর পাশাপাশি ২০১৪ সালে, টাটা গ্রুপ আইআইটি-বোম্বেকে ৯৫ কোটি টাকা অনুদান দেয় এবং গরিব মানুষ এবং সম্প্রদায়ের প্রয়োজনের জন্য উপযুক্ত প্রযুক্তির বিকাশের উদ্যোগ নেয়। এই কারণে গঠন করা হয় টাটা সেন্টার ফর টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইন (টিসিটিডি)।

পশুদের প্রতি তার প্রেম নানাভাবে ফুটে উঠেছে সমাজ মাধ্যমের পাতায়। নিজের পোষ্যর জন্যেও তিনি যথেষ্ট করেছেন, এমনকি নিজের উইলে তাকে দেখাশোনা করার জন্য সম্পত্তি রেখে গেছেন রতন টাটা। জামশেদজি টাটার সময় থেকেই বোম্বে হাউসে বর্ষাকালে রাস্তার কুকুরদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। এই ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছিলেন তিনি। তাঁর বোম্বে হাউসের সদর দফতরে সাম্প্রতিক সংস্কারের পরে রাস্তার কুকুরদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছিল একটি কেনেল। এই কেনেলে রাস্তার কুকুরদের জন্য খাবার, জল, খেলনা দেওয়া হয়। এমনকি তাদের খেলার জন্য সুব্যবস্থা করা হয়েছিল।

Advertisements