Lakshmir Bhandar: ২০২৪ শেষ হতে চলেছে খুব শীঘ্রই এরপরেই আরেকটি নতুন বছর এবং সাথে আরো নতুন আশা। তবে আগামী বছরের আগেই রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের দ্বারা রাজ্যবাসী নানাভাবে উপকৃত হয়, বিশেষ করে রাজ্যের মহিলাদের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় এনেছে রাজ্য সরকার। আগামী মাস থেকেই রাজ্যের মহিলারা দুর্দান্ত সুসংবাদ পেতে চলেছেন, শুনলে একেবারে অবাক হয়ে যাবেন।
আরো পাঁচ লক্ষ মহিলার নাম যুক্ত হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে (Lakshmir Bhandar)। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের যারা নতুন উপভোক্তা তাদের অ্যাকাউন্টে আগামী মাস থেকেই ঢুকে যাবে টাকা। কত পাওয়া যাবে এই প্রকল্পে? তফসিলি জাতি–উপজাতিভুক্তরা ১২০০ টাকা এবং বাকিরা ১০০০ টাকা। মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছে এবং আগামী মাস থেকে এই আকর্ষণীয় সুবিধা পাবে রাজ্যের ২ কোটি ২১ লক্ষ মহিলা। বর্তমানে রাজ্যের আরও ৫ লাখ ৭ হাজার মহিলা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের টাকা পাবেন।
আরো পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিরাট আপডেট! ছুটির তালিকার সাথেই প্রকাশ্যে এলো DA বৃদ্ধির খবর
নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন যে, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী এবং দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) জন্য নতুন আবেদন ইতিমধ্যেই আসা শুরু করে দিয়েছে। নতুন আরো মহিলাদের এই প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে। এখন সংখ্যাটা হলো ৫ লক্ষ ৭ হাজার। নতুন যাদের যুক্ত করা হয়েছে তাদের ডিসেম্বর মাস থেকেই টাকা ঢুকে যাবে। রাজ্যের মহিলাদের এই সহায়তা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের বাড়তি খরচ হবে ৫৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে রাজ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের উপভোক্তাদের সংখ্যা হল ২ কোটি ২১ লক্ষ। সরকারের এই প্রকল্পের জন্য মোট খরচ হবে ৬২৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।
আরো পড়ুন: অবাক কান্ড! তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা পেতেই স্কুলছুট পড়ুয়ারা
এতদিন পর্যন্ত রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে (Lakshmir Bhandar) ৪৮ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এক ঝটকায় তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে বলেছেন যে, ‘অন্য রাজ্যে অনেক ক্রাইটেরিয়া আছে। এই রাজ্যে সেইসব কিছুই নেই। যদি একটি পরিবারে চারজন মহিলা থাকে তাহলে সেই চারজন মহিলা লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় আসবেন। এই প্রকল্প হল রাজ্যের গর্ব এবং রাজ্যের প্রতিটি মেয়ে এবং বউ প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারবে। বাংলাই প্রথম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি আরো অন্যান্য রাজ্যে এই প্রকল্প চালু হয়েছে।
রাজ্যের মহিলাদের জন্য আরও একটি সুখবর, ৪৩ হাজার ৯০০ জন স্বামীহারা মহিলাকে বিধবা ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ডিসেম্বর মাস থেকেই তা চালু হয়ে যাবে। তার ফলে বাংলার মোট ২০ লক্ষ ৭৫ হাজার মহিলা উপকৃত হবেন। এইসব প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। রাজকোষের উপর এর ফলে বাড়তি চাপ পড়ে। ডিসেম্বর মাস থেকে ১৯ হাজার জন বিশেষভাবে সক্ষমকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নির্দিষ্ট বয়সসীমা পেরলেই সেইসব উপভোক্তাদের বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে যুক্ত করা হবে। এটার জন্য রাজ্যের মহিলাদের আলাদাভাবে কোনরকম আবেদন করতে হবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, প্রায় ১২ লক্ষ মানুষকে রাজ্য সরকার নিজের টাকায় বাড়ি তৈরি করে দেবে। এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য সরকার। আগামী ১৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যেই আবাস প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকবে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এখনো বাকি আছে ২৪ লক্ষ উপভোক্তা। সেইসব উপভোক্তাদের পর পর দেওয়া হবে কিস্তির টাকা।