Duplicate Petrol Pumps: বীরভূমে বেআইনি পেট্রল পাম্পের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, যা সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রশাসনের কাছেও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পেট্রল ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের দাবি অনুযায়ী, বর্তমানে জেলাজুড়ে প্রায় ৪০টি মিনি পেট্রল পাম্প (Duplicate Petrol Pumps) কোনো বৈধ অনুমতি ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছে। স্থানীয় মাফিয়া ও দুষ্কৃতীরা ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং বিহার থেকে সস্তা দামে পেট্রল এনে এই চক্র চালাচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন রাজ্যের রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
মিনি পেট্রল পাম্পের (Duplicate Petrol Pumps) আড়ালে যে বড় ধরনের জালিয়াতি চলছে, তা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাশের রাজ্য থেকে পেট্রল এনে সস্তা দামে বিক্রি করলেও এর মান এবং পরিমাণ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ। অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, এই বেআইনি পাম্পগুলো কোনো ধরনের সরকারি সেস প্রদান করছে না, যার ফলে রাজ্যের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
বিরক্ত ডিলাররা শনিবার সিউড়িতে বৈঠকে বসেন এবং জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কাছে বেআইনি পাম্পগুলোর তালিকা তুলে দেন। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক প্রসেনজিৎ সেন বলেন তারা ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন। ১৫ দিনের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা না নিলে তারা ধর্মঘট করবেন। বৈধ পাম্প থেকে কোনো ক্রেতাকে জ্যারিকেন বা বোতলে তেল বিক্রির ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:State Government: ট্যাব কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি হবে না কৃষকদের ক্ষেত্রে, বদ্ধ পরিকর রাজ্য সরকার
গত সেপ্টেম্বরে পাড়ুই থানার বাতিকারে একটি অবৈধ পাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই পাম্পটি কোনো ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল। বিস্ফোরণের ফলে বেশ কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনার পর অ্যাসোসিয়েশন জেলার অবৈধ পাম্পগুলোর একটি বিশদ তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় পাড়ুই, দেবগ্রাম, যাত্রাগ্রাম, ইলামবাজারসহ একাধিক জায়গার নাম রয়েছে।
বেআইনি পাম্পগুলো (Duplicate Petrol Pumps) থেকে বিক্রি হওয়া পেট্রলের ফলে সরকার ১৭% ডিজেল সেস এবং ২৫% পেট্রল সেস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর ফলে রাজ্যের রাজস্ব ক্ষতির মুখে পড়ছে। পাশাপাশি এই পাম্পগুলোতে কোনো ধরনের বৈধতা, যেমন ফায়ার সেফটি, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ, বা পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। এই জালিয়াতি বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা রাজ্যের নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।