Launches Maintenance: বহুদিন যাবৎ অনেক লঞ্চ খারাপ হয়ে পড়েছিল মেরামত না করার জন্য। অনেকদিন ধরেই লঞ্চগুলো গঙ্গাতেই পড়েছিল। তবে এবার সেই লঞ্চগুলোর মেরামতের কাজ শুরু হবে। এমনও দেখা গেছে কোনওটি ‘ড্রাই ডকিং’ না করায় বাতিল হয়ে গিয়েছিল যাত্রী পরিবহণের অনুমতি। যেহেতু লঞ্চগুলোকে মেরামত করা হয়নি, সেহেতু বন্ধ হয়ে গেছিল বিভিন্ন রুট। একদিকে যেমন আয় কমে গেছিল এবং অন্য দিকে ১০ বছর ধরে টিকিটের মূল্য না বাড়ানোয় ক্রমাগত রুগ্ন হয়ে পড়ছিল হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি।
রাজ্য সরকার অবশেষে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল শহরের জলপথ পরিবহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হুগলি নদীজলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতিকে বাঁচাতে। এই নদীজলপথ পরিবহনব্যবস্থাতে বরাদ্দ করা হয়েছে আবেদনে প্রায় লঞ্চ মেরামতির জন্য (Launches Maintenance) ২ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে পরিচালকমন্ডলী সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, যে সমবায় সমিতিটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল তাকে আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেবে রাজ্য সরকার।
নির্বাচিত পরিচালকমণ্ডলী দীর্ঘদিন ধরে না থাকার জন্য কোন কাজ সঠিকভাবে এগোয়নি। সাত মাস আগে উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর সুপারিশ করা ১২ জনের মনোনীত পরিচালকমণ্ডলীকে সমিতির দায়িত্ব দিয়েছিল রাজ্য সরকার। লঞ্চ (Launches Maintenance) ছাড়িয়ে এরাই নতুন করে গড়ে তুলবে এই নদীজলপথ।
আরও পড়ুন:Malda Airport: বিমানবন্দরে নেই বিমান, মালদা বিমানবন্দরে চরে বেড়াচ্ছে গবাদি পশু
১৪টির বেশি লঞ্চের দীর্ঘ দিন ধরে ‘ড্রাই ডক’ (স্বাস্থ্য পরীক্ষা) না হওয়া এবং প্রতি পাঁচ বছর অন্তর স্বাস্থ্যপরীক্ষার শংসাপত্র ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ ট্রান্সপোর্টের থেকে না পাওয়ায় পরিষেবাপ্রদানকারী লঞ্চের সংখ্যা কমছিল। তার জেরে কমছিল আয়ও। এর পাশাপাশি, আর্থিক দুর্নীতির মতো বিষয় নিয়েও পরিচালকমণ্ডলী সমস্যায়পড়ে। তবে পরিবহণ দফতরের থেকে ভাড়ায় পাঁচটি লঞ্চ পাওয়ায় সমস্যা সাময়িক ভাবে মেটে। স্থায়ী সমাধানের জন্য অন্তত আরও আটটি লঞ্চের মেরামতি জরুরি ছিল।
সমিতির চেয়ারম্যান বাপি মান্না এই বিষয়ে বলেছেন যে, এই কাজের জন্য রাজ্য সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে। পরিবহন দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আটটি লঞ্চ গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সের কাছে পাঠানো হবে। আশা করা যাচ্ছে যে, আগামী তিন চার মাসের মধ্যেই ওই দপ্তর থেকে হয়তো পাওয়া যাবে সব লঞ্চ। সমিতি এখন অপেক্ষা করছে কবে সবকটি লঞ্চ ভালোভাবে চলবে এবং সমিতিকে আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই সাবলম্বী করতে সাহায্য করবে। দীর্ঘদিন লঞ্চ না থাকার ফলে যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল তা হয়তো ভবিষ্যতে আর থাকবে না। কারণ, একাধিক রুটে তখন লঞ্চ চালানো যাবে।