Bullet Train: ভারতবাসীর মধ্যে বুলেট ট্রেন নিয়ে রয়েছে আলাদা উন্মাদনা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে ভারতীয় রেল নিজেকে আপডেট করছে দিনকে দিন। ভারতীয় রেলের অন্যতম উন্নত প্রযুক্তিগত ট্রেন হলো বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি নিয়ে ভারতের জনগণের যেন আলাদাই আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। কম সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এর তুলনা হয় না। তবে ভারতবাসী এখন অপেক্ষা করে রয়েছে বুলেট ট্রেনের জন্য। এই ট্রেনের কাজ ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। ভারতে প্রথম যে বুলেট ট্রেনটির চালু হবে তা মুম্বাই ও আহমেদাবাদকে যুক্ত করবে। বুলেট ট্রেন নিয়ে এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসলো। আপনি যদি জানতে পারেন মন খুশি হয়ে যাবে এক নিমেষেই। খবরটি পাওয়ার জন্য পড়তে হবে আজকের প্রতিবেদনটি।
মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পের কাজ যত এগোচ্ছে, মানুষের উন্মাদনা এবং কৌতূহল দুটোই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বুলেট ট্রেন মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত চলাচল করবে এবং এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৩২০ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার। এই বুলেট ট্রেনটি ৫০৮ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় নেবে মাত্র ২ থেকে ২.৩০ ঘণ্টা। ভারতীয় রেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, মুম্বই ও আহমেদাবাদের মধ্যে ১২টি বুলেট ট্রেন স্টেশন তৈরি করা হবে। রেলমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব রাজ্যসভায় শ্রীমতী গীতা ওরফে চন্দ্রপ্রভা এবং শ্রী নারায়ণ কোরাগাপ্পার প্রশ্নের উত্তরে নিশ্চিত করে দিয়েছেন যে, মুম্বাই-আহমেদাবাদ হাই-স্পিড রেল (এমএএইচএসআর) প্রকল্প, ৫০৮ কিলোমিটার দূরত্ব জুড়ে, বর্তমানে ভারতের একমাত্র সরকারীভাবে অনুমোদিত উচ্চ-গতির রেল প্রকল্প।
ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে যে, ভারতে যে বুলেট ট্রেনটি (Bullet Train) চালু হতে চলেছে তা জাপান সরকারের প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তায় গড়ে তোলা হচ্ছে। এই বুলেট ট্রেনের রেলপথ যুক্ত করবে মুম্বই, থানে, ভিরার, বোইসার, ভাপি, বিলিমোরা, সুরাট, ভারুচ, ভদোদরা, আনন্দ, আহমেদাবাদ ও সবরমতী স্টেশনগুলিকে। দ্রুত এই নির্মাণ কার্য শেষ করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বুলেট ট্রেনের কাজ এখনো পর্যন্ত শেষ হয়েছে ৩৩৬ কিলোমিটার পিয়ার ফাউন্ডেশন, ৩৩১ কিলোমিটার জেটি নির্মাণ, ২৬০ কিলোমিটার গার্ডার ঢালাই এবং ২২৫ কিলোমিটার গার্ডার লঞ্চিংয়ের কাজ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সমুদ্রের নীচে ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের কাজও শুরু হয়েছে, এই দীর্ঘ টানেল উল্লেখযোগ্য মাইলফলক তৈরি করতে চলেছে উচ্চ-গতির রেল করিডোরের উন্নয়নে।
উত্তরপ্রদেশের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করবে দিল্লি-বারাণসী এবং বারাণসী-হাওড়া করিডোরগুলি। দেশে একবার বুলেট ট্রেন (Bullet Train) চালু হলে আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে সেটাই আশা করা যাচ্ছে। এই উচ্চগতি- সম্পন্ন বুলেট ট্রেন ভারতের আর্থিক অবস্থাকে ঘুরিয়ে দেবে এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সম্প্রতি রাজ্য সভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেন যে, মুম্বই-আহমেদাবাদের পর একাধিক রুটে চালু হতে চলেছে বুলেট ট্রেন (Bullet Train)। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে, রেলমন্ত্রী ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচএসআরসিএল) কে ৭ টি হাই স্পিড রেল (এইচএসআর) করিডোরের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির দায়িত্ব দিয়েছেন। নিম্নে উল্লেখ করা হলো সাতটি হাইস্পিড রেল করিডরের নাম:
- দিল্লি-বারাণসী
- দিল্লি-আহমেদাবাদ
- দিল্লি-অমৃতসর
- মুম্বাই-নাগপুর
- মুম্বই-পুনে-হায়দরাবাদ
- চেন্নাই-বেঙ্গালুরু-মহীশূর
- বারাণসী-হাওড়া।