Yatri Sathi app: যাত্রীসাথী অ্যাপ সম্পর্কে আশা করি সকলে কমবেশি জানেন। ইতিমধ্যে বারটি রুটকে এই অ্যাপের আওতায় আনা হয়েছে। সরকারি বাসের পর এবার চেষ্টা চলছে যাতে বেসরকারি বাসগুলোকেও আনা যায় এই অ্যাপের আওতায়। ওই রুটের সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি সমস্ত বাসকেই যাত্রীসাথী অ্যাপের আওতায় আসতে হবে। যাত্রীসাথী অ্যাপের আসল কাজ কি সেই সম্পর্কে জেনে নেব আজকের প্রতিবেদনে। যদি এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হয় তাহলে ওই রুটে চলা বেসরকারি বাসের অবস্থানও দেখা যাবে যাত্রীসাথীতে।
এছাড়া যাতায়াতের ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা হবে। যাত্রীরা ভবিষ্যতে যাতায়াত করার জন্য যাত্রীসাথী অ্যাপেই (Yatri Sathi app) কাটতে পারবেন ১২ রুটের সরকারি বাসের টিকিট। শুধু টিকিট কাটা নয় এই অ্যাপের মাধ্যমে বাসগুলোর সময়সূচি, অবস্থান থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু দেখা যাবে। যাত্রীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বড় সুবিধা হবে এই অ্যাপের দ্বারা। এই অ্যাপের মাধ্যমে বেসরকারি বাসের সময়সূচিও জানা যাবে।শুধুমাত্র যাত্রীরা নয় এই অ্যাপের সুবিধা ভোগ করবে বাসের মালিকরা পর্যন্ত। ঘরে বসে বাসের মালিকরা সহজেই দেখতে পাবেন তাদের বাস রুট মেনে চলছে কিনা, ওভারটেক করছে কিনা।
আপাতত পরিকল্পনা করা হচ্ছে যে, বেসরকারি বাসের টিকিটও যাতে এই যাত্রীসাথী অ্যাপের (Yatri Sathi app) মাধ্যমে সহজেই কাটা যায়। তবে সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা রয়েছে। অসুবিধার অন্যতম কারণ হলো, বেসরকারি বাসে অলিখিতভাবে ভাড়া ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সরকারি তালিকা যদি দেখা যায় তাহলে ন্যূনতম ভাড়া হলো সাত টাকা। কিন্তু করোনার পর এই ভাড়া বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা, তাই এক্ষেত্রে একটা জটিলতা রয়েছে।
১২ রুটের মধ্যে থাকা বেসরকারি বাসকে যাত্রীসাথীর (Yatri Sathi app) আওতায় আনতে কোনও অসুবিধা নেই বরং এর ফলে বাস কোথায় থাকবে তা জানা আরও সহজ হবে। মঙ্গলবার পরিবহণ দপ্তরের ময়দান টেন্টে বাস মালিক সংগঠনদের সঙ্গে বৈঠক সম্পন্ন হয় এই বিষয় নিয়ে। সেখানে বাস সংগঠনগুলোকে বলা হয়েছে, এসি-৩৯, এসি-৫০এ, এসি-৩৭এ, ভি-১, এস-১০, এস-২৩এ, এসি-২, এসি-৪৩, এসি-৪০, এসি ২৩-এ, ইবি-১২, এস-৬৬ রুটে চলা বেসরকারি বাসের তালিকা দিতে।
তবে জমা দিতে হবে, চালক এবং কন্ডাক্টরদের লাইসেন্সের ফটোকপি, নাম পরিচয় ইত্যাদি। বাস মালিকদের সঙ্গে যে বৈঠক হয়েছে তাতে উপস্থিত ছিল পরিবহণসচিব সৌমিত্র মোহনও। এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সারা বাংলা বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়, সিটি সাবার্বান বাস ইউনিয়নের সম্পাদক টিটু সাহা, অলবেঙ্গল মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু-সহ অন্যান্য বাস সংগঠনের নেতারা। বৈঠকটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, সরকার যদি সরকারি বাসের পাশাপাশি বেসরকারি বাসকেও যাত্রীসাথী অ্যাপের আওতায় আনতে চায় তার জন্য বাস মালিক সংগঠনের কোন আপত্তি নেই। তবে ১২ টি রুটের যে তালিকা চাওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগটি আপাতত ১২টি রুটের ক্ষেত্রে নেওয়া হলেও ভবিষ্যতে শহরের সমস্ত বাসকেই যাত্রীসাথী অ্যাপের আওতায় আনতে হবে।