Salty Water: মাটির তলা থেকে যে জল পাওয়া যায় তা সাধারণত মিষ্টি হয় এবং পানীয় হিসেবে উপযুক্ত। পৃথিবীতে মোট ২ ধরনের জল পাওয়া যায়। সকলেই জানে যে, সমুদ্রের অফুরন্ত জলরাশি কখনোই যা শেষ হবার নয়। এই জলরাশি অফুরন্ত ঠিকই, কিন্তু সমুদ্রের জল পানযোগ্য নয়। কারণ সমুদ্রের জল হল নোনতা, মানুষের পক্ষে এই জল পান করা একেবারেই অসম্ভব। অন্যদিকে নদী, জলাশয়, দিঘি, পুকুরের জল এবং মাটির তলায় থাকা জল, পানের যোগ্য। আজকের এই প্রতিবেদনে কিছু অবাক করা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারব।
এই সাধারণ জল মানুষ পানীয় হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। শুধুমাত্র পানের জন্য নয়, এই জল ব্যবহার করা হয় জলসেচে। তাই মিষ্টি জলের গুরুত্ব সবথেকে বেশি। এই জল নিত্যপ্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়। ধরুন সমুদ্রের ধারের কোনও জায়গা তবু কিন্তু সেখানকার মাটির তলার জল নোনতা (Salty Water) হবেনা। বরং সাধারণ পানযোগ্য জল হয়।কেনো হয় এমন ঘটনা? এখন জানতে হবে মাটির তলার জল মিষ্টি হওয়ার প্রধান কারণ কি? মাটির তলার জল সাধারণত বৃষ্টির জল দ্বারা পুষ্ট হয়। এই জলকে মাটির তলায় ধরে রাখতে সাহায্য করে মাটির তলার পাথর এবং মাটি। বৃষ্টির জল এভাবে মাটির তলায় ধরা হয়। এই জল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কাজে লাগে।
বৃষ্টির ধরে রাখা জল প্রয়োজনে মানুষ মাটির তলা থেকে বার করে ব্যবহার করে। কিন্তু সমুদ্রের জলের মতো যদি সেই জলও নোনতা (Salty Water) হয় তাহলে কি হবে? যদি সমুদ্রের জল তার সঙ্গে মিশে যায় তাহলে কোনোভাবেই সেই জল আর পান করা সম্ভব নয়। বিজ্ঞানীরা বারবার করে সতর্ক করছে এই বিষয়টি নিয়ে। নাসা জানাচ্ছে, ২১০০ সালের মধ্যেই পৃথিবীর ৭৫ শতাংশ উপকূলীয় এলাকার মাটির তলার জল নোনতা হয়ে যেতে পারে। কেন এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে আসুন জেনে নিই এই প্রতিবেদনে?
আরও পড়ুন:Full Form of Boroline: ঠোঁট ফাটলেই মনে পড়ে বোরোলিনকে, কিন্তু জানেন এর ফুলফর্মটি কি
সমুদ্রের ধারে থাকা মাটির তলার জল কখনোই কিন্তু নোনতা (Salty Water) হয় না বরং মিষ্টিই হয়। সমুদ্রের জল চেষ্টা করে লাগোয়া মাটি ধরে চুঁইয়ে ভিতরে ঢোকার এবং উল্টোদিকে মাটির তলায় থাকা মিষ্টি জলও সামান্য চুঁইয়ে সমুদ্র লাগোয়া মাটির দিকে আসে। কিন্তু সমুদ্র লাগোয়া জায়গায় কোথাও মিশলেও তা সেখানেই থেকে যায়। না মিষ্টি জল সমুদ্রে যায়, না সমুদ্রের জল মিষ্টি জলের সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে যায়।
তবে এই অবস্থার আমূল পরিবর্তন করবে ৭৫ বছরের মধ্যে। নাসার বিজ্ঞানীরা এমনটাই বলেছেন এবং এই বিষয়টি নিয়ে তারা সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন। দুটি প্রধান কারণ কে তারা দায়ী করেছেন এই পরিস্থিতির জন্য। বর্তমানে গোটা বিশ্বজুড়ে সবথেকে বড় সমস্যা হলো বিশ্ব উষ্ণায়ন। জলবায়ু পরিবর্তনও বিরাট প্রভাব ফেলেছে। বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি ভবিষ্যতে নোনা জলের পরিমাণ বৃদ্ধি করবে। প্রবল চাপে উপকূলীয় এলাকার মাটির ভিতরে আরও বেশি করে প্রবেশ করাতে থাকবে। ভবিষ্যতে কমে যাবে মিষ্টি জলের পরিমাণ বরং পাশাপাশি বৃদ্ধি পাবে নোনা জল। মিষ্টি জল যদি মনটা হয়ে যায় তাহলে তা কখনোই পানীয় হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। এমনকি ব্যবহার করা যাবে না অন্যান্য কাজেও।