Illegal Tax in Bolpur: বোলপুর শহরের কথা শুনলেই মনে পড়ে যায় পৌষমেলা। তবে সম্প্রতি বোলপুর শহরে প্রবেশ করতে গেলে পড়তে হচ্ছে তোলাবাজির খপ্পরে। খানিকটা সেরকমই বলা চলে, কারণ ছোট হোক কিংবা বড় যেকোন গাড়িকেই অবৈধ ট্যাক্স দিতে বাধ্য করছে। বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সংগ্রহ করছে এই ট্যাক্স। এইসব কর্মীদের কাছে কোন রকম সরকারি নথি নেই। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছে কার নির্দেশে তারা এই ট্যাক্স নেওয়ার টেন্ডার পেয়েছে। রীতিমতো একপ্রকার অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে বোলপুর শহরে।
টোল ট্যাক্স হিসাবে যা তোলা হচ্ছে তা কি আদৌ জমা পড়ছে পুরসভায়? জমা পড়লেও কোন খাতে সেই টাকা যাচ্ছে? একাধিক প্রশ্ন করেছে সাধারণ মানুষ। অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের নির্দেশে চলছে এই অবৈধ টোল ট্যাক্স (Illegal Tax in Bolpur) এর কারবার। বোলপুরের এক ব্যবসায়ী শেখ নাসিরের নামে এই অভিযোগ উঠেছে। বহু বছর ধরে এই ধরনের ব্যবসায় তিনিই নিযুক্ত রয়েছেন। বোলপুর শহর জুড়ে রয়েছে মোট সাতটি অবৈধ টোল এবং জেলাতেও এই অবৈধ টোলের কারবার চলছে।
এই ধরনের ঘটনা প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে ঘটে চলেছে। কিন্তু কেন প্রশাসন চুপ করে রয়েছে এত কিছু হওয়ার পরেও? ১০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা অবাধে কুপন দেওয়ার ব্যবসা চলে যাচ্ছে। এই ধরনের অবৈধ কর আদায়ের (Illegal Tax in Bolpur) ফলে শহরে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট এবং মাঝে মাঝে দুর্ঘটনাও ঘটছে। তবুও কেন প্রশাসন চুপ করে রয়েছে, তাই নিয়ে সাধারণ মানুষের একাধিক অভিযোগ।
আরও পড়ুন:QR Code in Toto: টোটোয় লাগানো হবে কিউআর কোড, সিউড়ি পুরসভার এক অভিনব উদ্যোগ
টোল প্লাজার দেওয়ালে গাড়ি হিসাবে রেট দেওয়া আছে। দূর দূরান্ত থেকে বোলপুর শহরে বহু পর্যটক আসে তাদের গাড়ি পর্যন্ত আটকানো হচ্ছে এই কর আদায়ের জন্য। শহরে যত মালবহনকারী গাড়ি আসছে তাদেরকেও দিতে হচ্ছে এই অবৈধ ট্যাক্স (Illegal Tax in Bolpur)। যদি কেউ এই অবৈধ ট্যাক্স দিতে অস্বীকার করে তাহলে কপালে জুটছে চরম নির্যাতন। মালবাহী গাড়িগুলোর চালক থেকে শুরু করে খালাসীদেরও হেনস্থা করা হচ্ছে। প্রতিদিন আদায় হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ব্যবসায়ী নাসির শেখ অবশ্য বলেছেন যে সব কিছু নিয়ম মেনেই চালানো হচ্ছে।
পুরসভার টেন্ডার না পেলে কখনোই কেউ সরকারি ট্যাক্স আদায় করতে পারে না, এমনটাই বলেছেন ওই ব্যবসায়ী। সরকারি নির্দেশ থাকলে কেন নেই কোনরকম বৈধ কাগজপত্র? এতেই সামনে আসছে একাধিক প্রশ্ন। বর্তমান পুরপ্রধান অবশ্য বলে দিয়েছেন তিনি নিজে কাউকে এরকম নির্দেশ দেননি। যা হয়েছে তা সবকিছুই আগের পুরবোর্ডের আমলে। এই যে অবৈধ টোল ট্যাক্স মানুষের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে, তা কি সরকারি খাতে জমা পড়ছ? কোনরকম সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তৎকালীন পুরপ্রধান।