Ratan Tata: চলতি বছরে মৃত্যু হয়েছে দেশের অন্যতম ধনী শিল্পপতি রতন টাটার। বার্ধক্যজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার। তাকে শুধুমাত্র একজন শিল্পপতি বললে ভুল বলা হবে আসলে তিনি ছিলেন একজন উদ্যোগপতি। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য। জীবনে কাজের থেকে বেশি গুরুত্ব আর কোনো কিছুকেই দেননি রতন টাটা। খুব বিলাসবহুল জীবনযাপন তিনি কখনোই পছন্দ করতেন না, বরং এর থেকে সাধারণ জীবনযাপনকেই অনেক বেশি আপন করে নিয়েছিলেন তিনি। আজকের এই প্রতিবেদনে জানা যাবে তার বাড়ির অন্দরমহল সম্পর্কে।
রতন টাটার (Ratan Tata) বসতবাড়ি অবস্থিত উচ্চতর কোলাবা এলাকায়। বাংলোটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। বাংলোটির দূরত্ব টাটা সন্সের সদর দফতর থেকে মাত্র ২০ মিনিটের পথ। এই বাংলোটি মোট ১৩,৩৫০ বর্গফুট জুড়ে বিস্তৃত এবং এই সম্পত্তিটিতে ৩টি তলা ৭টি স্তরে বিভক্ত। বাংলোটিতে রয়েছে যথেষ্ট স্থান এবং স্থাপত্যের নিদর্শনে ভরপুর। তিনি মানুষ হিসেবে ছিলেন খাঁটি হীরে, তার বাংলো সম্পর্কে সকলেরই কৌতুহল আছে।
আয়ের বেশিরভাগ অংশই তিনি দান করে দিতেন। যদি তা না হতো তাহলে পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় তার নাম অবশ্যই দেখতে পাওয়া যেত। কিন্তু মানুষের স্বার্থে সর্বদাই নিজেকে উজাড় করে দিতে পছন্দ করতেন রতন টাটা। তিনি (Ratan Tata) যতদিন বেঁচে ছিলেন নিজে যেমন স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করতেন তেমনি সকলকে স্বপ্ন দেখার উৎসাহ যোগাতেন। বহু স্টার্টআপ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন তিনি। তার বাড়ির প্রথম তলায় একটি বিশাল সমুদ্র-মুখী সূর্যের ডেক রয়েছে যা পুরো মেঝে জুড়ে অবস্থিত। ৫০ থেকে ৬০ জন লোকের আয়োজন করা যেতে পারে সহজেই।
আরও পড়ুন:Babar Ali: আর্থিক প্রতিকূলতাকে হারিয়ে স্বপ্ন ভারতের হয়ে খেলার, কে এই বাবর আলি
এছাড়াও তার (Ratan Tata) বাড়িতে রয়েছে একটি জিম, মিডিয়া রুম, খেলার ঘর, ব্যক্তিগত লাইব্রেরি এবং একটি অনন্ত সুইমিং পুল। বিলাসবহুল সবকিছুই তার জীবনে ছিল কিন্তু বিলাসিতা তাকে কখনোই ছুঁতে পারেনি। খুব সাধারণ জীবনযাপন তিনি বেছে নিয়েছিলেন। তিনি শুধুমাত্র দেশের লোকের কথা নয় বাড়ির প্রত্যেকটি মানুষের কথাও চিন্তা করে গেছেন শেষ নিঃশ্বাস অবধি। পোষ্য ছিল তার খুব প্রিয়, তাদের জন্য তিনি ভেবে রেখে গেছেন। শুধুমাত্র বাড়ির পোষ্যদের জন্য নয়, রাস্তার কুকুরদের জন্য তার অবদান ভোলার মত নয়।
তার বাংলোর রং একেবারে সাদা, এই সাদা রং হলো নমনীয়তার প্রতীক। এছাড়াও তার বাংলোতে দেখতে পাওয়া যায় ফরাসি দরজা, প্রাকৃতিক আলোর জন্য কাচের জানালা, অন্দর গাছপালা এবং অত্যাশ্চর্য মেঝে। প্রথম তলায় দুটি বেডরুম এবং একটি রুম রয়েছে অধ্যয়ন করার জন্য। এছাড়া দ্বিতীয় তলায় তিনটি বেডরুম, একটি বসার ঘর এবং একটি লাইব্রেরি রয়েছে। তার বাড়ির বেসমেন্টে এমন জায়গা রয়েছে যেখানে ১০ থেকে ১২ টি গাড়ি পার্ক হতে পারে। পাশাপাশি রয়েছে চাকরের কোয়ার্টার, কার্যকরী এবং ব্যবহারিক থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে। তার (Ratan Tata) অবসর জীবনযাপন করার জন্য একেবারে আদর্শ ছিল বখতাওয়ার’ নামে পরিচিত এই বাড়িটি। ভারতের অন্যতম সম্মানিত শিল্পপতির জন্য একটি নির্মল অথচ বিলাসবহুল স্থান ছিল তার বাংলো।