ATM Withdrawal Rules: এই ডিজিটাল পেমেন্টের সময় দাঁড়িয়ে এটা ভাবা ভুল হবে না যে মানুষ এখন খুব কম নগদ টাকা সঙ্গে রাখে। ২০১৮ সালেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রকাশিত ডেটা দেখায় যে অটোমেটেড টেলার মেশিন বা এটিএম থেকে নগদ তোলার পরিমাণ এক বছর আগের থেকে এপ্রিল মাসে ২২ শতাংশ বেড়ে ২.৬ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে৷ এটি প্রমাণ করে যে ডিজিটাল পেমেন্টের জনপ্রিয়তা এবং ব্যাপক ব্যবহার সত্ত্বেও, লোকেরা হার্ড কারেন্সি বহন করা থেকে বিরত থাকেনি। এটিএম এ টাকা তোলা নিয়ে ২০১৮ সালের বেশ কিছু নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছিল। এর পর আবার ২০২৪ এর ডিসেম্বরে এটিএম এ টাকা তোলা সংক্রান্ত নিয়মের (ATM Withdrawal Rules) পরিবর্তন আনা হলে।
ব্যাংকগুলি মূলত নিরাপত্তার কারণে এবং ক্যাশ টাকা লেনদেনেদ ট্র্যাক রাখার জন্য এটিএম থেকে টাকা তোলার সীমা আরোপ করে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই এটিএম-এর মাধ্যমে শুরু হওয়া লেনদেনের (ATM Withdrawal Rules) জন্য ইতিমধ্যে বেশ কিছু নীতি নির্ধারণ করেছে। একবার এটিএম নগদ তোলার সীমা শেষ করে ফেললে, পরবর্তী প্রতিটি লেনদেনের জন্য অবশ্যই ২১ টাকা দিতে হবে। আরবিআই জানিয়েছে যে, লেনদেন চার্জ বৃদ্ধির অর্থ হল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে খরচ এবং বিনিময় ফিগুলির মৌলিক বৃদ্ধির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে।
আসলে যতই দিন এগোচ্ছে, অর্থনৈতিক জালিয়াতি ততোই বেড়ে চলেছে সাধারণ মানুষের টাকা-পয়সা এখন কোন জায়গাতেই নিরাপদে নেই। তার কারণ সামান্য একটি লিংকে ক্লিক করে হাজার হাজার টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে। সেখানে এটিএম তো ভীষণই তুচ্ছ। এটিএম থেকেও এখন খুব সহজে পিন নম্বর দিয়ে টাকা তুলে নিতে পারে হ্যাকাররা। আবার আগে থেকে হ্যাকারার এটিএম মেশিনে তাদের কারসাজি সেরে রাখছে। এরকম বেশ কিছু ঘটনা কয়েক জায়গায় ঘটার পরেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এটিএম নিয়ে বেশ কিছু নতুন নিয়ম চালু করেছে।
আরও পড়ুন:Annual Income Tax: বছরে কত টাকা লেনদেন করলেই আসবে আয়কর নোটিশ, জেনে নিন প্রয়োজনীয় গাইডলাইন
ভারত জুড়ে সমস্ত ব্যাঙ্কের জন্য সর্বাধিক নগদ তোলার সীমা আলাদা। এর আগে নিয়ম করা হয়েছিল যে, কিছু ব্যাঙ্কের জন্য সর্বাধিক দৈনিক সীমা ১০,০০০ থেকে শুরু হয় এবং প্রধান গ্রাহকদের জন্য ৫০,০০০ পর্যন্ত যায়৷ আরবিআই জানিয়েছে যে লেনদেন চার্জ বৃদ্ধির অর্থ হল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে খরচ এবং বিনিময় ফিগুলির মৌলিক বৃদ্ধির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে। সাধারণত, ব্যাঙ্কগুলি প্রতি মাসে এটিএমগুলিতে পাঁচটি বিনামূল্যে লেনদেনের সুবিধা দেয়।
এমন অনেক ঘটনাই ঘটেছে যে, একজন গ্রাহক মেশিনে তার পিন নম্বরটি দিয়ে টাকার অংক বসিয়েও টাকাটি নিতে ভুলে গেছেন। এতে প্রতারকদের খুবই সুবিধা হয়। কোনো কষ্ট ছাড়াই তারা সেই টাকাটি হাতে পেয়ে যায়। এবার গ্রাহক মেশিন থেকে টাকাটি নিতে ভুলে যান তবে সেই টাকাটি ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে অটোমেটিক মেশিনে চলে যাবে। এর ফলে প্রতারকদের হাতে কোন ভাবেই টাকাটি আর পৌঁছবে না। সেই টাকা আবার ব্যাঙ্কে জমা পড়বে। তাই এখন থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং মেনে চলতে হবে এটিএম এ টাকা তোলা সংক্রান্ত নিয়ম (ATM Withdrawal Rules)।