Lakshmir Bhandar: রাজ্য সরকার রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য নানারকম জনকল্যাণমূলক প্রকল্প নিয়ে আসে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। যারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা লাভ করেন তাদের ৬০ বছর বয়স হলে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই বার্ধক্য ভাতার সুবিধা লাভ করতে থাকবেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প থেকে বার্ধক্য ভাতায় পরিবর্তিত করতে কোনরকম আলাদা আবেদন পত্রের প্রয়োজন হয় না অর্থাৎ, ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রাপকরা স্বাভাবিক ছন্দেই মাসে এক হাজার টাকা করে পেতে থাকেন।
তবে নবান্ন এইসব মহিলাদের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে খুব শীঘ্রই। যদি বিস্তারিত খবর জানতে চান তাহলে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়ুন আজকের এই প্রতিবেদনটি। সূত্র মারফত জানা গেছে যে, যাঁরা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakshmir Bhandar) পেতে পেতে বার্ধক্য ভাতার আওতায় আসবেন, তাদের জন্য আর থাকবে না আয়ের কোন উর্ধ্বসীমা। নবান্নের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবে রাজ্যের লক্ষাধিক মহিলা।
রাজ্যের মানুষেরা বার্ধক্য ভাতা পেয়ে থাকেন রাজ্য সরকারের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের ‘ওল্ড এজ পেনশন’ প্রকল্পের অধীনে। এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী উপভোক্তাদের প্রতি মাসের আয় এক হাজার টাকার নীচে থাকতে হবে। কিন্তু এখন আর সেই নিয়ম থাকবে না। যেসব মহিলারা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakshmir Bhandar) থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বার্ধক্য ভাতা পাবেন বা ‘মাইগ্রেট’ করবেন, তাদের জন্য আয়ের ঊর্ধ্বসীমা মাসিক হাজার টাকা রাখতে হবে সেইসব আর থাকবে না। ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে খসড়া।
আরও পড়ুন:Indian Railways: আটকে গেছে চারটি নতুন প্রকল্প, রাজ্য সরকার দিয়েছে মাত্র ২১%
এখন শুধু অপেক্ষা মন্ত্রিসভার অনুমোদনের। যদি একবার সিলমোহর পড়ে তাহলে এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি থেকে শুরু করে পরবর্তী যাবতীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ শুরু করে দেবে নবান্ন। এই দায়িত্ব দেওয়া আছে নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তর অর্থাৎ ‘ওল্ড এজ পেনশন’ এর ওপর। এছাড়াও ‘জয় জোহার’ ও ‘তফসিলি বন্ধু’ প্রকল্পের দায়িত্বে আছে এ রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর।
সম্প্রতি পঞ্চায়েত দপ্তর ভাতা দিয়েছে কয়েক লক্ষ রাজ্যবাসীকে। এছাড়া রাজ্য সরকার কৃষিদপ্তর, পুরদপ্তর, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং মৎস্য দপ্তরের মাধ্যমেও বহু মানুষকে বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হয়। মহামারীর সময়ে বার্ধক্য ভাতা সংক্রান্ত সমস্ত প্রকল্পকে এক জায়গায় করে নাম দেওয়া হলো ‘জয় বাংলা’। ‘ওল্ড এজ পেনশন’-এর ক্ষেত্রে এক হাজার টাকার ঊর্ধ্বসীমার নিয়মটি বজায় রয়েছে এখনো। তবে ‘তফসিলি বন্ধু’ ও ‘জয় জোহার’ প্রকল্পের মাধ্যমে বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে উপভোক্তার আয় নিয়ে কোনো নিয়ম নেই। ৬০ বছর হয়ে গেলে তাঁরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ‘তফসিলি বন্ধু’ বা ‘জয় জোহার’ প্রকল্পের অধীনেই পাবে বার্ধক্য ভাতা। নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের ‘ওল্ড এজ পেনশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে এই সম্প্রদায় লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) থেকেই সরাসরি পাবে বার্ধক্য ভাতা। মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র পেলে আর লাগবেনা আয়ের ঊর্ধ্বসীমা।