Govt Employee DA: রাজ্য সরকারি কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করেও পায়নি তাদের প্রাপ্ত ডিএ। অনেকদিন ধরে ডিএ বাড়েনি রাজ্য সরকারি কর্মীদের। আবার অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে পঞ্চম বেতন কমিশনের অধীনে বকেয়া ডিএ আদায় নিয়ে। ডিএ নিয়ে যখন রাজ্যে এই প্রকার ঝামেলা হচ্ছে তাই মাঝখানে রাজ্য সরকার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল। মুখ্যমন্ত্রী চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের একাধিক দপ্তরে, কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের থেকে। এই দপ্তরটি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই রয়েছে।
বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানোর উদ্দেশ্য হলো বর্তমানে কোন দপ্তরে কত কর্মীসংখ্যা রয়েছে তা জানা। কত কর্মীসংখ্যা বিভিন্ন দপ্তরে রয়েছে সেটি জানতে চেয়েই চিঠি দেওয়া হয়েছে কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের থেকে। রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে যে, রাজ্য সরকার পরিসংখ্যান চেয়েছে সচিবালয়গুলিতে লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট, আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট, হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং সেকশন অফিসার পদে বর্তমানে মোট কতজন রয়েছে।
এমনকি জানুয়ারি মাসের শেষে প্রত্যেক দপ্তরে কত কর্মী নিযুক্ত রয়েছে তা জানিয়ে চিঠি দিতে হবে কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কারের কাছে। তবে এহেন পরিস্থিতিতে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে নতুন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে। সরকারি কর্মচারীরা বেশ কয়েক বছর ধরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এই আন্দোলনের মূল বিষয় বকেয়া ডিএ হলেও অন্যান্য বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে রয়েছে আদালতের মামলা। যদিও হাইকোর্টে ডিএ মামলায় সরকার পরপর হেরেছে। কিন্তু এখন এই মামলাটি আর হাইকোর্টে নেই বরং চলে গেছে সুপ্রিম কোর্টে। ডিএ আন্দোলনকারীদের অন্যতম দাবি ছিল, স্বচ্ছ নিয়োগ।
আরও পড়ুন:New Academic Rules: বাংলায় সরকারি স্কুলে উপস্থিতির নিয়মে বাঁধল নতুন সুর, ১০.৪০ পরে ঢুকলেই লেট
রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে ডিএ (Govt Employee DA) পাচ্ছেন প্রায় ১৪ শতাংশ হারে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে ৫৩ শতাংশ হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তুলনায় কেন্দ্রীয় কর্মীরা অনেক বেশি পরিমাণে ডিএ পাচ্ছে। এই কারণে কেন্দ্রীয় কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মীদের ফারাক হয়েছে বিস্তর।
বড়দিন উপলক্ষে বাড়ানো হয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ। কিন্তু সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরকম কোন ঘোষণা করেনি। ডিএ আন্দোলনকারীরা অবশ্য দাবি করেছে যে, রাজ্যকে শীঘ্রই কর্মীদের প্রাপ্য ৩৯ শতাংশ ডিএ (Govt Employee DA) দিতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের অবস্থান থেকে অনড় হয়নি। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম পে কমিটি গঠন করা হয়েছিল ১৯৭০ সালে। এই কারণে কেন্দ্রে যখন পঞ্চম বেতন কমিশন কার্যকর হয়, তখন রাজ্যে চতুর্থ কমিশন আসে। আর কেন্দ্রে সপ্তমের জায়গায় রাজ্যে বর্তমানে ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর হয়েছে।