Indian Army-Bangladesh Army: বর্তমানে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একপ্রকার যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা আধিকারিক থেকে শুরু করে ইসলামিক কট্টরপন্থী নেতা, সকলেই এতদিন ধরে ভারত-বিদ্বেষ আবহে যুদ্ধের জিগির তুলছিলেন। দুই দেশের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া খারাপ সম্পর্ক সম্বন্ধে সকলেই অবগত। তবে বাংলাদেশ সম্প্রতি সরাসরি ভারত বিদ্বেষী বার্তা দিচ্ছে। ভারতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিককে যুদ্ধের জন্য তৈরি করা হবে। ভারতের বিরুদ্ধে এমনও হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছে BNP-র স্থায়ী কমিটির এক সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তাকে।
শুধুমাত্র বাংলাদেশের কট্টরপন্থীদের হুঁশিয়ারি শোনা যাচ্ছে তা কিন্তু নয় সাথে যোগ দিয়েছে পাকিস্তানের মৌলবাদীরাও। পরিস্থিতি যখন এতটাই কঠোর সেই মুহূর্তে বাংলাদেশে হয়ে গেল আসল যুদ্ধের মহড়া (Indian Army-Bangladesh Army)। একইরকম যুদ্ধের সুর শোনা গেল ইউনূসের মুখেও। সাধারণ মানুষের বর্তমান পরিস্থিতি কিরকম? তবে কি ভারতীয়দের জন্য বাংলাদেশের এই হুংকার সত্যি হতে চলেছে? কী বলছেন প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা? তাদের মতে ভারতের সমকক্ষ হতে বাংলাদেশের এখনো লেগে যাবে দীর্ঘ বছর। তাই বাংলাদেশের হুশিয়ারিকে আমল দিচ্ছে না ভারত।
রবিবার রাজবাড়িতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক বিগ্রেড গ্রুপের যুদ্ধের মহড়া খতিয়ে দেখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান (Indian Army-Bangladesh Army)। এই মহড়াতে অংশ নিয়েছে দেশের তিনসেনার প্রধান। তবে যুদ্ধের মহড়া দেওয়ার অধিকার যেকোন দেশের রয়েছে। এই কঠিন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ কেন যুদ্ধের মহড়া দিল তাতে নানারকম প্রশ্ন উঠে আসছে। তাহলে কি এবার ভারতের পালা?
আরও পড়ুন:India Bangladesh Relations: ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রভাব পর্যটনেও, কোন দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশীরা
সামরিক দিক থেকে ভারতের কোনোভাবেই সমকক্ষ হতে পারবে না বাংলাদেশ (Indian Army-Bangladesh Army)। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অফিসার-জওয়ান সহ সক্রিয় সদস্যের সংখ্যা হল ১৪ লক্ষ ৫৫ হাজার। আর অবাক করার বিষয় হলো সেখানে বাংলাদেশে মাত্র ১ লক্ষ ৬৩ হাজার সক্রিয় সেনা সদস্য রয়েছে। একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ভারতের কাছে মোট ২ হাজার ২৯৬টি এয়ারক্রাফট আছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের কাছে রয়েছে ২১৬টি। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভারত পরমাণুশক্তিধর দেশ, কিন্তু বাংলাদেশ এখনও সেই ক্ষমতা অর্জন করে উঠতে পারেনি। তাহলে ভারতের বিরুদ্ধে আদৌ কি কোনদিনও যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে বাংলাদেশ?
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের শাসনকালে বাংলাদেশের মাটিতে বসে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ জোরালো করছে জঙ্গি গোষ্ঠী আনসারুল্লা বাংলার প্রধান। ভারত বিরোধিতাকে আরো জোরালো রূপ দেওয়ার জন্যই এই প্রচেষ্টা তাদের। ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করার মত ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। তাহলে কি অন্য রাষ্ট্র থেকে মদত পাচ্ছে বাংলাদেশ? পাকিস্তানের কট্টরপন্থীরা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ পেয়ে গেছে বহু নতুন বন্ধু। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েই ভারত বিরোধী কার্যালাপ আরো দ্বিগুণ গতিতে চালানোর প্রচেষ্টা করছে বাংলাদেশ।