UPI: বর্তমানে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ ভরসা করে বিভিন্ন ইউপিআই অ্যাপগুলোর উপর। এরফলে কাছে নগদ টাকা রাখতে হয় না এবং সব জায়গাতেই সহজেই আর্থিক লেনদেন সম্ভব হয়। সম্প্রতি এই ইউপিআই অ্যাপগুলোর জন্য মার্কেট শেয়ার ক্যাপ প্রয়োগের সময়সীমা আরো দুই বছর বৃদ্ধি করলো ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। অবশেষে খুশির খবর ফোনপে, গুগলপে-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য। মঙ্গলবার জারি করা সার্কুলার অনুযায়ী NPCI স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, একাধিকবার আলোচনা করার পর থার্ড পার্টি অ্যাপ প্রদানকারীদের জন্য মার্কেট শেয়ার ক্যাপ মেনে সময়সীমা ২০২৬ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। জানা যাচ্ছে এই সময়সীমা এই তৃতীয়বারের জন্য বৃদ্ধি হল।
মার্কেট শেয়ার ক্যাপ এর ব্যাপারে প্রথম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ২০২০ সালে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল, ট্রিমইউপিআই পেমেন্ট অ্যাপগুলোকে (UPI)মার্কেট ক্যাপের মধ্যে বেঁধে রাখা। সার্কুলার অনুযায়ী, কোনও অ্যাপই একচেটিয়াভাবে বাজার দখল করতে পারবে না। সব অ্যাপ এর মধ্যে থাকবে সমান প্রতিযোগিতা।
ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এনপিসিআই দ্বারা পরিচালিত হয় ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস বা ইউপিআই অ্যাপগুলো (UPI)। ইউজাররা এর মাধ্যমেই রিয়েল টাইম পেমেন্ট করতে পারেন। কিভাবে জানা যাবে যে এখন কোনও অ্যাপ ৩০ শতাংশের সীমার মধ্যে রয়েছেন কিনা ? এনপিসিআই জানিয়েছে, গত তিন মাসে ধারাবাহিকভাবে ইউপিআই-তে প্রসেস হওয়া লেনদেনের মোট পরিমাণের উপর ভিত্তি করে গণনা করা হবে। আজকের প্রতিবেদনে জানতে পারবেন বিস্তারিতভাবে।
পাশাপাশি এনপিসিআই দাবি করেছে যে, হোয়াটসঅ্যাপ পে-এর জন্য ইউপিআই ইউজারদের (UPI)। অন্তর্ভুক্ত করার সীমা তুলে দেওয়া হবে। ভারতীয় বাজারে তাদের পরিষেবা দিতে আর কোনোরকম বাধা নেই। এর আগে অবশ্য এনপিসিআই নির্দেশ দিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ পে-কে, যাতে ধাপে ধাপে ইউপিআই ইউজারের সংখ্যা বাড়ানোর যায়। বর্তমানে ইউপিআই অ্যাপগুলোর জনপ্রিয়তা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালে ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। লেনদেন পৌঁছেছে ১৭২ বিলিয়নে। ২০২৩ সালে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১১৮ বিলিয়ন। ডিজিটাল অর্থনীতি বলতে যা বোঝায় সেটা একেবারে উপযুক্ত ইউপিআই অ্যাপগুলোর জন্য। বর্তমান আধুনিক যুগে ডিজিটাল অর্থনীতি ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছে।
বর্তমানে চালু হয়েছে নতুন সময়সীমা। এই নতুন সময়সীমা চালু হওয়ার পর থেকে ফোনপে, গুগলপে-এর মতো অ্যাপগুলোকে নিয়মের উপযোগী করে ব্যবসায়িক মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে শীঘ্রই। পাশাপাশি বহু নতুন কোম্পানি বাজারে আসতে চলেছে। যার ফলে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে আগের থেকে অনেক গুণ বেশি। এনপিসিআই ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে, গ্রাহকরাও আরও ভাল পরিষেবা পাবেন।