Vacation after Retirement: সুদীর্ঘ কর্ম জীবনের পর অবসর হলো কর্মজীবন থেকে ছুটির সময়। এই সময় নিজের জন্য সময় পাওয়া যায়। তাই নিজের জীবনকে আরেকবার উপভোগ করতে বেড়াতে যাওয়ার কথা ভেবে থাকেন। তবে কোথায় যাবেন তা ঠিক করে উঠতে পারেন না অনেকেই। তবে ভারতের বুকেই রয়েছে এমন অনেক জায়গা যে অবসরকালীন ভ্রমণের আনন্দের মাত্রা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। দেখে নেওয়া যাক সেইসব জায়গা কোনগুলি:
১. উত্তরাখণ্ড:
কথায় আছে উত্তরাখণ্ড হলো দেবভূমি। অবসরকালীন ভ্রমণে (Vacation after Retirement) পাহাড়ি পবিত্র নদী, মন্দির এবং যোগ কেন্দ্রগুলি মানসিক শান্তি দেয়। তাই উত্তরাখণ্ডকে ভ্রমণের জন্য বেছে নিতে পারেন। উত্তরাখণ্ড ভ্রমণে গেলে হৃষিকেশ, হরিদ্বার, বদ্রিনাথ এবং কেদারনাথের মতো তীর্থস্থান দর্শনের সুযোগ হতে পারে।
২. ওড়িশা:
ওড়িশা হলো একটি প্রাচীন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। যেখানকার ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্মৃদ্ধ থাকে। এখানকার বহু প্রচীন মন্দির, সমুদ্র সৈকত এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অবসরকালীন ভ্রমণকে (Vacation after Retirement) আলাদা মাত্রা এনে দিতে পারে। এখানে সূর্য মন্দির, জগন্নাথ মন্দির ছাড়াও পুরী এবং ভুবনেশ্বরের মতো শহরগুলি ঘুরে দেখা যেতে পরে।
৩. তামিলনাড়ু:
তামিলনাড়ুর সংস্কৃতি, শিল্প এবং স্থাপত্য পর্যটকদের চিরকাল মুগ্ধ করে আসছে। এখানেও মন্দির, সৈকত এবং পাহাড়ি অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সকলকে মুগ্ধ করে। তামিলনাড়ু ভ্রমণে মাদুরাই, চেন্নাই, কুম্ভকোনাম এবং উটির মতো আকর্ষণীয় শহরগুলি ভ্রমণ করা যায়।
৪. গোয়া:
গোয়া হলো ভারতের অন্যতম বিখ্যাত পর্যটন স্থান। যেখানে সুন্দর সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি নীল জল এবং সুস্বাদু খাবারের জন্য বিখ্যাত। অবসরকালীন ভ্রমণে (Vacation after Retirement) গোয়া ভ্রমণ করতে চাইলে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নজর কেড়ে নেবে সকলের।
আরও পড়ুন:
৫. হিমাচল প্রদেশ:
হিমাচলের সবুজ উপত্যকা, শান্ত পরিবেশ, তুষারে ঢাকা পাহাড় এবং এর পাহাড়ি গ্রামগুলো যেকোনো পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এখানে ট্রেকিং, প্যারাগ্লাইডিং ছাড়াও একাধিক রোমাঞ্চ ভরা কার্যকলাপ উপভোগ করা যায়। এখানে অনেক ছোট ছোট পাহাড়ি গ্রাম রয়েছে যেখানে অল্প খরচ অবসর জীবনের (Vacation after Retirement) ছুটি কাটানো যেতে পারে।
৬. কাশ্মীর:
ভূস্বর্গ নামে পরিচিত এই কাশ্মীর উপত্যকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে গোটা ভারত থেকে মানুষের সমাগম হয় এই স্থানে। সাদা বরফে ঢাকা এই উপত্যকা পাহাড়ি ফুলের সৌন্দর্য্য ভরা দিনগুলিকে আরও মনোরম করে তোলে। সঙ্গে ডাল লেক ভ্রমণ এবং কাশ্মীরি খাবার গ্রহণের সুযোগ পাওয়া যাবে।