Pakistan Gold Reserves: এক বিশাল সোনার ভাণ্ডার লুকিয়ে আছে সিন্ধু নদের মধ্যে। এর প্রভাব কতটা পড়বে পাকিস্তানের অর্থনীতির উপর? সিন্ধু নদ হল পৃথিবীর সবথেকে পুরনো এবং দীর্ঘতম নদী। এই নদী পুরনো সভ্যতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ৩৩০০ এবং ১৩০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে। এই নদকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিল সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতা। সিন্ধু নদের পুরোটাই ভারতের মধ্যে ছিল ১৯৪৭ সালে। বর্তমানে এই নদ ভারত আর পাকিস্তান উভয় রাষ্ট্রের উপর দিয়েই গেছে। সিন্ধু নদের অবদান দুই দেশের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সমৃদ্ধ করে।
বিপুল স্বর্ণের ভাণ্ডার (Pakistan Gold Reserves) লুকিয়ে রয়েছে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের অ্যাটকের কাছে। গোটা বিশ্বকে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই স্বর্ণ ভান্ডার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওই খনিতে প্রাপ্ত সোনার মূল্য প্রায় ৬০০ বিলিয়ন পাক মুদ্রার কাছাকাছি। এটি সত্যি দেশের অর্থনীতিতে অনেক প্রভাব ফেলবে । গোটা দেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটও এই স্বর্ণ ভান্ডার বদলে দিতে পারে।
পাকিস্তানের উত্তরাংশের পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ করে হিমালয়ই হল সিন্ধু নদে প্রাপ্ত সোনার উৎস (Pakistan Gold Reserves)। যদিও এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক কোটি বছর আগে। এর প্রধান কারণ হলো সেই সময়ে টেকটনিক পাতের সংঘর্ষে পর্বত গড়ে উঠেছিল। সেই সময়ে সোনার কণা ক্ষয় হয়ে সিন্ধু নদীতে সঞ্চিত হয়েছিল। সিন্ধু নদের জলের প্রবাহে সেই স্বর্ণের কণা বয়ে গিয়েছিল। এগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জমা হয়েছে নদীগর্ভে। নদীর একটি নির্দিষ্ট অংশে এর ফলে জমা হয়েছে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ। স্বর্ণের ভান্ডার ছড়িয়ে রয়েছে অ্যাটক জেলার প্রায় ৩২ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ অংশে জুড়ে। এর পরিমাণ প্রায় ৩২.৬ মেট্রিক টন। যার মূল্য প্রায় ৬০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি।
খনি আবিষ্কারের খবর ইতিমধ্যেই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে এবং গোটা বিশ্বে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতটে সোনা খনন করতে জড়ো হয়েছেন। শীতের মরশুমে নদীতে জল কমে আসলে সোনার কণা (Pakistan Gold Reserves) দেখা যায়। জানেন কি খননকার্য সম্পূর্ণরূপে অবৈধ? কারণ বেশ কিছু সময় ভারি যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করা হচ্ছে। আপাতত সেখানে ১৪৪ ধারা বলবৎ করেছে পাকিস্তান সরকার। এখনকার যে প্রতিহত করার জন্য নানারকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খনি এবং খনিজ দফতরের সিনিয়র আধিকারিকেরা এই সমস্ত প্রচেষ্টায় বাধ সেধেছে।
আরও পড়ুন:Indian Army-Bangladesh Army: ভারতীয় সেনাবাহিনী ঠিক কোন কোন দিকে এগিয়ে বাংলাদেশের থেকে
স্বর্ণ বার করে আনলে কি পাকিস্তানের ভাগ্য বদলে যাবে? কিন্তু এই সোনা আদৌ খনন করা যাবে কি না তা বলা যাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ যদিও বিস্তারিতভাবে কোন রকম মন্তব্য করেনি। অফিসিয়াল বিবৃতি জারি করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। সিন্ধু নদে প্রাপ্ত স্বর্ণের খনি পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী করে তুলতে পারে। এত পরিমাণ অর্থ তথা নয়া আবিষ্কৃত সম্পদ দেশের আর্থিক চ্যালেঞ্জ দূর করতে পারে। সবথেকে ভালো বিষয় হলো চেপে থাকা ঋণের বোঝাও কমে যেতে পারে এই স্বর্ণ ভান্ডারের দৌলতে। প্রাপ্ত ওই স্বর্ণের ভাণ্ডার সরকারের জন্য দুর্দান্ত রাজস্ব তৈরি করতে পারে। এমনকী দেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারেও অবদান রাখতে পারে।
যদি সোনার খনন শুরু হয় তাহলে তৈরি হবে চাকরির সংস্থানও। আঞ্চলিক অর্থনীতির এরফলে অনেকটাই চাঙ্গা হবে। বিশেষ করে অ্যাটকের মতো এলাকায়। যদিও এর জন্য মাইনিংয়ের কাজ জোরদার করতে হবে সরকারকে। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে যে, সিন্ধু নদের সোনার ভাণ্ডার তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা আনবে পাকিস্তানের জন্য। শুধু তা-ই নয়, চাকরির সংস্থানও তৈরি হবে এবং আর্থিক চাপও হ্রাস পাবে। যদিও এই উপযোগিতাগুলি বোঝার জন্য দায়িত্বশীল খননকার্যের প্রয়োজন হবে। সেই সঙ্গে থাকতে হবে সরকারের নিয়মকানুন এবং স্থায়ী রিসোর্স ম্যানেজমেন্টও