Reels in Sealdah: বর্তমান আধুনিক যুগ যত দিন যাচ্ছে ততই সমাজমাধ্যম নির্ভর হয়ে পড়ছে। ঘুম থেকে ওঠার পর এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত মানুষের দিনের বেশিরভাগ সময় কাটছে সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ার ইঁদুর দৌড়ে যাতে পিছিয়ে পড়তে না হয় তার জন্য নানারকম কার্যকলাপ করতে রাজি আধুনিক যুগের মানুষ। আজকের এই প্রতিবেদনে জানতে পারবেন এমনই একটি চমকপ্রদ ঘটনা যা অবাক করে দেবে সকলকে।
ফোন খুললেই নানা রকমের রিলস থেকে শুরু করে ভিডিও অনেক কিছুই চোখে পড়ে। কিছু জিনিস সত্যিই দেখতে ভালো লাগে আবার কিছু কিছু জিনিস আছে যার কোন মাথামুণ্ডু নেই। শুধু সোশ্যাল মিডিয়াকে জনপ্রিয় হওয়ার তাদিতে মানুষ বিভিন্ন রকম হাস্যকর কার্যকলাপ করে। রিলস করতে গিয়ে নিজেদের জীবনে বিপদ পর্যন্ত ডেকে আনে। তেমনি একটি ঘটনার (Reels in Sealdah) উদাহরণ আজকের এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হবে।
রিলস তৈরির (Reels in Sealdah) নেশাতেই বাবা-মা হারিয়ে ফেলতেন তাদের দেড় বছরের সন্তানকে। ঘটনাটি শুনলে গা শিউরে উঠবে আপনাদেরও। আধুনিকতার ছোঁয়া মানুষের জীবনে যেমন উন্নতি ঘটিয়েছে তেমন অবনতিও এনে দিয়েছে। পুলিশের চেষ্টায় অবশেষে উদ্ধার হয়েছে সেই শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে শিয়ালদহ স্টেশনে। এই ঘটনা ফের চোখে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিল রিলের নেশার মানুষের জীবনে কিভাবে নিমিষের মধ্যে বিপদ হতে পারে।
আরও পড়ুন:Spot Ticket: টিকিট না থাকলে এবার আর চিন্তা নেই, স্টেশনেই পেয়ে যাবেন স্পট টিকিট
মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাসিন্দা অ্যামেচার ফোটোগ্রাফার নীলেশ দিগম্বর গায়কোয়াড, স্ত্রী পল্লবী ও দেড় বছরের সন্তান তসময়কে নিয়ে গঙ্গাসাগরে এসেছিলেন। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মনস্কামনা পূরণের পর মানতের পুজো দেওয়া। তারা মঙ্গলবার মকরস্নান সেরে শিয়ালদহ থেকে হাওড়া হয়ে রাতের ট্রেন নাগপুরে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তার মাঝেই ঘটিয়ে ফেলেছিলেন এই অঘটন। বিকেলে শিয়ালদহে আসার পর স্টেশনে স্বামী-স্ত্রী মিলে রিল বানানো শুরু করে। বাবা-মা খেয়াল করেননি ততক্ষণে তাঁদের দেড় বছরের শিশু সন্তান সঙ্গ ছেড়ে চলে গিয়েছে। গায়কোয়াড দম্পতি সেই সময় ব্যস্ত ছিলেন রিল বানানোতে। বিষয়টি একবারের জন্য খেয়াল করেননি তারা। এদিকে ভিড়ের ঠেলায় ১৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তে চলে যায় দেড় বছরের ওই শিশু। যখন বাবা মার হুঁশ ফিরে ততক্ষণে সন্তান চলে গেছে অনেক দূরে। রিলস তৈরি করতে (Reels in Sealdah) গিয়ে নিমেষের মধ্যে সন্তানের কথা ভুলে গেলেন বাবা-মা।
অন্যদিকে পুলিশ একা এক শিশুকে ঘুরতে দেখে তাকে নিয়ে চলে আসে থানায়। একবার সন্ধে নামতেই শুরু হয়ে যায় বাবা-মায়ের কান্নায় হইচই করা। বিষয়টি পুলিশকে জানানোর জন্য বলেন অন্যান্য যাত্রীরা। এরপর থানায় গিয়ে তাঁরা তসময়কে পুলিশের সামনেই বসে থাকতে দেখেন। পুলিশ তাদের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে তাদের হাতে তুলে দেয় সন্তান। হারানো সন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় মায়ের কোলে। নীলেশ জানিয়েছে, গঙ্গাসাগরে পুণ্য স্নান করতে গেছিলেন তারা এবং তাদের দৃঢ় বিশ্বাস কপিলমুনির আশীর্বাদে নিজের হারিয়ে যাওয়া সন্তানকে ফিরে পেয়েছে তারা।