Naga Sadhu Hair: দেশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে মহাকুম্ভ। এবছর মহাকুম্ভ পালিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে। পুণ্যার্থীদের কাছে মহাকুম্ভের মাহাত্ম্য অনেক বেশি কারণ, এটিই হলো প্রথম এবং শেষ মহাকুম্ভ। আবার ১৪৪ বছর বাদে আসবে এই পবিত্র তিথি। মহাকুম্ভের প্রধান আকর্ষণ হল নাগা সাধু কিংবা সন্ন্যাসীরা। এদের কেউ কেউ থাকে উলঙ্গ অবস্থায় আবার কারোর পরনে থাকে গেরুয়া বসন। গলায় এবং হাতে থাকে রুদ্রাক্ষের মালা। আর সবথেকে বড় আকর্ষণের জিনিস হল নাগা সন্ন্যাসীদের লম্বা চুল।
কখনো ভেবেছেন এই চুল (Naga Sadhu Hair) তারা আদৌ কি কখনো কাটতে পারবেন? তাদের মাথার লম্বা জটা তাদের অন্যতম পরিচয়। কারণ নাগা সন্ন্যাসীরা শিবের ভক্ত। তাদের এই জটা দীর্ঘদিন না কাটার ফলে আঠালো হয়ে গেছে। কিন্তু কোন বিশেষ সময়ে তারা কি কাটতে পারে তাদের এই লম্বা জটা? এই সব অনেক প্রশ্ন মানুষের মনে ঘুরপাক করে তবে আজকের এই প্রতিবেদনে সব কিছুরই উত্তর পাওয়া যাবে।
নাগা সাধুরা (Naga Sadhu Hair) সাধারণত চুল কাটতে পারে বিশেষ সময়ে। কিন্তু তাদের সর্বদাই চুল বড় রাখতে হয় এটাই নিয়ম। লম্বা চুল এবং জটা দেখেই মানুষ নাগা সন্ন্যাসীদের চিনতে পারে। নাগা সন্ন্যাসীদের জটা প্রায় ১০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। বালি এবং ছাই দিয়ে সাজানো হয় সেই চুল। নিয়ম অনুযায়ী নাগা সন্ন্যাসীদের শিখা সূত্র ত্যাগ করতে হয়।
আরও পড়ুন:YouTuber beaten by Sadhu: কুম্ভমেলায় সাধুর সাথে দেখা করতে এসে মার খেলেন ইউটিউবার, ভাইরাল হল ভিডিও
নাগা সাধুরা এই লম্বা চুল ছাই দিয়ে পরিষ্কার করেন। তাদের দীর্ঘ চুল হলো তাদের আধ্যাত্মিকতা, ধ্যান এবং তপস্যার পরিচয়। একজন নাগা সন্ন্যাসীর জীবনযাত্রা এবং পরিচয়কে বহন করে তাদের লম্বা চুল(Naga Sadhu Hair) । অনেকেই বিশ্বাস করে এই লম্বা চুল তাদেরকে আরো অনেক বেশি শক্তিশালী করে তোলে। অর্থাৎ বলা চলে এই লম্বা চুল শক্তি আকর্ষণ করতে সহায়তা করে।
মহাজাগতিক শক্তি প্রবাহিত হয় এই লম্বা চুলের মধ্য দিয়েই। নাগা সাধুরা বিশ্বাস করে এই লম্বা চুলের মধ্য দিয়েই তারা ভগবান শিবের শক্তি লাভ করতে পারে কারণ তারা শিবের উপাসক। এই চুল হল প্রকৃতির অংশ, নিজেদের জীবন থেকে সমস্ত রকম আসক্তি দূর করেছেন নাগা সন্ন্যাসীরা। জাগতিক বস্তুর প্রতি এদের কোন লোক নেই। এমনিতে নাগা সাধুদের চুল কাটার অনুমতি নেই। তবে গুরুর মৃত্যু হলে তাকে সম্মান জানানোর জন্য নাগা সাধুরা চুল কাটতে পারে।