Bank Locker Robbery: রক্ষকই কি তবে ভক্ষক? নেকলেস, কানের, আংটি সহ ২৭টি হীরার গয়না উধাও ব্যাংক লকার থেকে

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Bank Locker Robbery: যিনি রক্ষক তিনি যদি ভক্ষক হয়ে ওঠেন তবে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়! আমরা ব্যাংক কর্মীদের ভরসায় ব্যাংকে সচরাচর টাকা পয়সা থেকে শুরু করে গয়না, মূল্যবান জিনিসপত্র গচ্ছিত রাখি চুরি হওয়ার ভয়েতে। আমরা মনে করি যে ব্যাংকে আমাদের মূল্যবান জিনিসগুলি নিরাপদে থাকবে। কিন্তু সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক ঘটনা মানুষেরই তথাকথিত বিশ্বাসকে পুরোই পাল্টে দিলো। যে ব্যাংকের লকারে ব্যাংক কর্মীর উপর ভরসা করে বহু গ্রাহক তাদের মূল্যবান গয়না নিরাপদে রেখে গিয়েছিলেন, সেই ব্যাংক কর্মী তার গ্রাহকদের ভরসা এক ধাক্কায় ভেঙে ফেলে গয়না লোপাট করেন লকার থেকে (Bank Locker Robbery)।

Advertisements

ঘটনাটি এমন যে পার্কস্ট্রিটে একটি ব্যাংকের শাখার লকারের দায়িত্বে থাকা একজন ব্যাংক কর্মচারী দুটি লকার (Bank Locker Robbery) সাফ করেন। যেখানে প্রচুর পরিমাণে সোনা এবং গয়না ছিল। উদ্ধারকৃত জিনিসপত্রের মধ্যে রয়েছে ব্রেসলেট, নেকলেস, চুড়ি, কানের দুল এবং আংটি সহ ২৭টি হীরার অলঙ্কার, যার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। অন্যান্য উদ্ধারকৃত জিনিসপত্রের মধ্যে রয়েছে চেইন, চুড়ি, কানের দুল এবং ব্রেসলেটের মতো সাতটি সোনার অলঙ্কার, যার মূল্য ২৭.৮ লক্ষ টাকা।

Advertisements

এছাড়াও, ৭৮২ গ্রাম ওজনের ১১টি সোনার বার, যার মূল্য ৬৬.৫ লক্ষ টাকা এবং ৪৬ গ্রাম ওজনের ছয়টি সোনার কয়েন, যার মূল্য ৩.৯ লক্ষ টাকা। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, অভিযুক্ত দম্পতি অর্থাৎ লকার ইনচার্জ মিঠুন শি এবং তার স্ত্রী মৌমিতা শি তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মৌমিতা নিজে মুখে বলেছেন যে, তিনি বোসপুকুর রোডের সাউদার্ন এনক্লেভের একটি প্রথম তলার ফ্ল্যাটে গয়নাগুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেই অনুযায়ী, প্রশাসন থেকে অভিযান চালানো হয়। যুগ্ম সিপি রূপেশ কুমার জানিয়েছেন যে, চুরি যাওয়া বেশিরভাগ জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisements

আরও পড়ুন:CCTV in SchoolCCTV in School: স্কুলে সন্তান কি করছে? দেখা যাবে ঘরে বসেই

গত ১০ই জানুয়ারী মৌমিতা এবং মিঠুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং এর আগে ১.২ কোটি টাকার গয়না, নগদ অর্থ এবং সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছিল। তারা দাবি করেছেন যে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিশাল লেনদেন সনাক্ত করা যেতে পারে, যার মধ্যে নগদ জমা, সোনা, উচ্চমানের গাড়ি এবং মূল্যবান জিনিসপত্র এবং গ্যাজেট কেনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

যদিও মৌমিতা এবং মিঠুনকে গ্রেপ্তার করা করা হয় এবং চুরি হয়ে যাওয়া গয়নাগাটিয়ে উদ্ধার করা হয়। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বসে গেছে এতদিন তারা যে সমস্ত মানুষদেরকে ভরসা করে ব্যাংকের লকারে (Bank Locker Robbery) তাদের কষ্ট করে উপার্জন করার টাকা, শখের গয়না, মূল্যবান গ্রহরত্ন নিরাপদে রাখতেন আজ সেই মানুষজনই বিপদজনক হয়ে উঠছে।

Advertisements