Ghoramara Island: ছোট হলেও বড্ড কড়াকড়ি! সুন্দরবনের এই দ্বীপে ঘুরতে গেলে মানতে হবে এইসব নিয়ম

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Ghoramara Island: একঘেয়েমি জীবন থেকে মুক্তি পেতে ভ্রমণের বিকল্প খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সময়ের অভাবের জন্য অনেক সময় আমরা দূরে কোথাও বেড়াতে যেতে পারি না। সেক্ষেত্রে আপনি ঘুরে আসতে পারেন কলকাতার কাছে অবস্থিত ঘোড়ামারা নামক এই ছোট্ট দ্বীপ থেকে। তবে দ্বীপে বেড়াতে গেলে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম।

Advertisements

ঘোড়ামারা দ্বীপ (Ghoramara Island) হল পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকার একটি ছোট্ট দ্বীপ। তবে বর্তমানে দ্বীপটি ভাঙ্গন সমস্যার সম্মুখীন। পৃথিবীর যে ক’টি দ্বীপ দ্রুত ভূমি হারাচ্ছে ঘোড়ামারা তাদের মধ্যে অন্যতম। ভাঙ্গন ঠেকাতে নানান প্রকল্প গ্রহণ করেছিল সরকার। কাজে আসেনি কিছুই। তবে দ্বীপ দূষণমুক্ত করার কাজে স্থানীয় বাসিন্দাদের এই প্রয়াস অনেকের নজর কেড়েছে।

Advertisements

বর্তমানে গ্লোবাল ওয়ার্মিং একটি অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠের সামগ্রিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণেই দ্রুত অদৃশ্য হয়ে যেতে চলেছে ঘোড়ামারা নামে এই দ্বীপ। গত একশো বছরে এই দ্বীপের প্রায় ৮৪ শতাংশ জমি হারিয়ে গেছে নদীগর্ভে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে স্বেচ্ছাসেবীর দল এখন এই দ্বীপ রক্ষার কাজে তৎপর হয়ে উঠেছে।

Advertisements

বর্তমানে এই দ্বীপের আয়তন কমবেশি সাড়ে ৪ বর্গ কিলোমিটার। দ্বীপ (Ghoramara Island) দূষণমুক্ত করার লড়াইয়ে সামিল দ্বীপের সব বাসিন্দারা। এই দ্বীপে থার্মোকল, প্লাস্টিক ফেলা বারণ। এমনকি দ্বীপে কেউ ভুল করে প্লাস্টিক নিয়ে আসলে স্বেচ্ছাসেবক দল সেগুলি নিয়ে নেয়। আপনি যদি দ্বীপে যাওয়ার জন্য লঞ্চ বা নৌকায় ওঠেন, তবে সেখানেও দেখতে পাবেন সতর্কবার্তা।

আরও পড়ুন:Aranya ParkAranya Park: একদিনের ছুটি কাটাতে বেরিয়ে আসুন এই পার্ক থেকে, কম খরচে মিলবে কাশ্মীরি শিকারা

দ্বীপের ঘরগুলিতে ঝাপ হিসাবে প্লাস্টিকের বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে সেড নেট বা চট। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকার থেকে এখানে সোলার প্যানেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে সেখান থেকেও কোনো দূষণ না ঘটে। এভাবেই গোটা দ্বীপকে দূষণমুক্ত রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন দ্বীপের বাসিন্দা থেকে সরকার।

জীবনযাত্রার মান যত উন্নত হয়েছে ততই পরিবেশে দূষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেক্ষেত্রে ঘোড়ামারা (Ghoramara Island) দ্বীপকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের এই উদ্যোগ এক অন্যতম দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।

Advertisements