Sambhav Smartphone: শত্রুও পাবেনা নাগাল, সেনার হাতে আসলো স্বদেশি ৫জি স্মার্টফোন ‘সম্ভব’

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Sambhav Smartphone: ভারত এবং চীনের মধ্যেকার সম্পর্ক কখনোই সুমধুর ছিলনা। সমঝোতা হলেও সতর্কতার সঙ্গে কোনও আপস করেনি ভারতীয় সেনারা। হ্যাকিং কথাটির সঙ্গে সকলেই পরিচিত। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে ‘হ্যাকিং’ ও শত্রু দেশের আড়ি পাতার মতো ঘটনা কিভাবে এড়িয়ে যাবে ভারত? সেইজন্যই কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। আজকের এই প্রতিবেদনে জানতে পারবেন বিস্তারিতভাবে।

Advertisements

দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন সবথেকে বড় প্রশ্ন। এরজন্য ভারত সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রচেষ্টা চালায়। দেশের স্বার্থে সেনা আধিকারিকদের যোগযোগের জন্য দেওয়া হচ্ছে সম্পূর্ণ স্বদেশি প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ স্মার্টফোন ‘সম্ভব’ (Sambhav Smartphone)। খুব সহজেই শত্রুপক্ষের নজরদারি এড়ানো যাবে ফিফথ জেনারেশনের এই স্মার্টফোন দিয়ে। এতে কথোপকথনের পাশাপাশি থাকছে নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশন।

Advertisements

ভারত ও চিনের সেনা অবশেষে দীর্ঘ আলোচনার পর গত অক্টোবর মাসে ডেপসাং ও ডেমচক সীমান্ত থেকে পিছু হটেছে। তখন দুই দেশের আধিকারিকদের মধ্যে সমঝোতার সময় ‘সম্ভব’ (Sambhav Smartphone) নামের এই স্মার্টফোনের মাধ্যমেই আলোচনা সেরেছিল ভারতের সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই ফোনটির কোন বিকল্প হবে না । ভারতীয় সেনার তরফ থেকে চিন সীমান্তে টানাপোড়েনের সময় এই ফোনই ব্যবহার করা হয়েছিল। দেশের সেনা আধিকারিকদের হাতে এবার এই ফোন তুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিরাপদে কথোপকথন চালাতে ৩০ হাজার সম্ভব ফোন সেনা আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

Advertisements

আরও পড়ুন:Earthquake NotificationEarthquake Notification: ভূমিকম্প নিয়ে আর ভয় নেই, স্মার্টফোনে চলে আসবে নোটিফিকেশন

সূত্র মারফত জানা গেছে যে, সম্ভব (Sambhav Smartphone) নামের এই স্মার্টফোনে নেই কোনরকমের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবস্থা। তার পরিবর্তে আছে এম-সিগমা নামে নিজস্ব অ্যাপ। যার মাধ্যমে যোগাযোগ ও নথিপত্র সহজে পাঠানো যায়। এমনকি বড় সাইজের ফাইল অতি সহজে এর মাধ্যমে পাঠানো যাবে। সেনা আধিকারিকরা জিও বা এয়ারটেলের মতো টেলিকম সংস্থার মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন। তবে এই ফোন থেকে মেসেজ, কথোপকথন, ছবি, ভিডিও ও নথি পাঠানোর বাইরে আর কিছু করা যাবে না। জানা যাচ্ছে, এই ফোনে কারও নম্বর সেভ করারও প্রয়োজন পড়বে না। সব সেনা আধিকারিকদের নম্বর এতে আগে থেকেই সেভ করা থাকছে।

দেশের নিরাপত্তার ওপর জোর দিতেই আধুনিক প্রযুক্তির উপর নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ। সেনাবাহিনীর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল অনেক আগে থেকে। এর আগে ভারতীয় সেনারা ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ সব নথি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠাত। খুব সহজেই শত্রুপক্ষের হাতে চলে যেতে পারত সেইসব তথ্য। এমনকি বহুবার এই ধরনের পেপার সর্বসমক্ষেও চলে আসে। শত্রুর নজরদারি এড়াতে এবং গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য সেনার জন্য স্বদেশি ৫জি স্মার্টফোন আনল কেন্দ্র।

Advertisements