নিজস্ব প্রতিবেদন : আর মাত্র দিন কয়েক আর তারপরেই রয়েছে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। যে দিল্লিতে গত কয়েক বছর ধরে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল রীতিমতো ধরাশায়ী করেছে দেশের অন্যতম প্রধান দল বিজেপি এবং বিরোধী দল কংগ্রেসকে। তবে এই বছর নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে তারা শেষ হাসি হাসবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
সম্প্রতি শেষ হওয়ার লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে বিজেপি খুব ভালো ফলাফল করেছে। সেই নিরিখে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফলাফল করবে বলে অনেককে মনে করলেও কিন্তু সংঘ তা মনে করছে না। বরং সংঘের আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আম আদমি পার্টির বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সেই সকল পদক্ষেপ বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে পারে বিজেপির কাছে।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবা সংঘ যা মনে করছে তাতে এই বছরও বিজেপির দিল্লি দখলের স্বপ্ন অধরা থাকতে পারে। এর পিছনে মূলত রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একের পর এক পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে রাজ্যেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে সেই রাজ্যেই ধরাশায়ী হতে হয়েছে বিজেপিকে। ঠিক সেই রকমই দিল্লির ক্ষেত্রেও কোনো রকম অদল বদল হবে না বলেই মনে করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবা সংঘ অর্থাৎ আরএসএস।
আরও পড়ুন : অবসরের পরই পদ্মশ্রী পেলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, পদ্ম তালিকায় নাম উঠলো আরও ৪ ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের
বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই বছরও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল দিল্লিতে আলাদা করে জায়গা করে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কেননা কেজরিওয়ালের জেল যাত্রার পরও তার জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। অন্যদিকে ভোটের আগে তার একের পর এক নতুন ঘোষণা রীতিমতো চিন্তায় ফেলছে বিজেপি শিবিরকে। অন্যদিকে গত নির্বাচনে যেখানে কংগ্রেস একটিও আসন পায়নি, সেই জায়গায় এবার তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
ভোটের আগে এই সকল ধারণা অবশ্য ভোটের ফলাফলের ক্ষেত্রে কতটা সার্থক হবে তা দেখার জন্য আসল ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে দিল্লি তথা দেশের মানুষদের। বলে রাখা ভালো, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের ভোটের আগে একের পর এক জনমুখী ঘোষণার পর রীতিমত নড়েচড়ে বসেছে সংঘ পরিবার।