Insurance Companies: কেন্দ্রীয় সরকার কিছুদিন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলির সংযুক্তিকরণ করার। সেরকমই তিন বীমা সংস্থাকে সংযুক্ত করে একটি বা দুটি আর্থিক শক্তিশালী সংস্থায় তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। দেশে ইতিমধ্যেই মোট ২৭টি ব্যাঙ্ক থেকে মার্জারের মাধ্যমে কমিয়ে ১২টি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্ক গঠন করা হয়েছে। বীমা সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রেও ঠিক একই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এখনো পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। হয়তো এবার আর সংযুক্তিকরণ নয় বরং বীমা সংস্থাগুলিকে বিক্রি করে দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার!
কেন্দ্রীয় সরকার ২০২২ সালে নীতি আয়োগ সংযুক্তিকরণ না করলেও একটি বীমা সংস্থা (Insurance Companies) বিক্রি করার প্রস্তাব দেয়। ২০২৫ সাল পর্যন্ত সেটা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি আর্থিক দিক থেকে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে চারটি বীমা সংস্থা। কেন্দ্রীয় সরকার হয়তো বীমা সংস্থাগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স, ওরিয়েন্টাল ইন্সুরেন্স ও ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ইন্সুরেন্স এই তিন সংস্থার কোনো একটিকে আগে বিক্রি করা হবে। বিক্রির পরে সেই লাভের অঙ্ক ও কর্পোরেট মার্কেটে কেমন সারা মিলছে তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এরপরে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেবে দেশের বাকি বীমা সংস্থাগুলো (Insurance Companies) বিক্রি করা হবে কিনা? উপরে উল্লেখ করা তিনটি বীমা সংস্থা বাদ দিয়ে আরও একটি বীমা সংস্থা রয়েছে সরকারের কাছে, সেটা হল নিউ ইন্ডিয়া ইন্সুরেন্স। এই বীমা সংস্থাটির আর্থিক পরিস্থিতি অন্যান্য সংস্থাগুলোর তুলনায় অনেকটা ভালো। সেই কারণে সরকার চাইছে এটিকে নিজের কাছে রাখতে।
একটি বীমা সংস্থা তখনই আর্থিক দিক থেকে শক্তিশালী হবে যখন তার সলভেন্সি রেশিও ঠিক থাকবে। যদি এটি ১.৫ এর বেশি হয় তাহলে ভালো নাহলেই মুশকিল। যেমন নিউ ইন্ডিয়া ইন্সুরেন্সের (Insurance Companies) ক্ষেত্রে এই সলভেন্সি রেট ১. ৮১ কিন্তু বাকি তিনটির ক্ষেত্রে ১-ও নেই। সেই কারণেই বাকি তিনটি বীমা সংস্থাকে শীঘ্রই বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ টাকার ট্যাক্স বাঁচাতে চান, আজই বিয়ে করে নিন
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এমনটাও ভাবা হচ্ছে যে বিক্রির আগে কোন বিকল্প পথ রয়েছে কিনা। বিক্রি করার আগে সরকার চেষ্টা করবে আর্থিকভাবে সহায়তা করে তাদের রক্ষা করা যায় কিনা। সংস্থাগুলো যদি ঘুরে দাঁড়াতে পারে তাহলে হয়তো বিক্রির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার নেবে না। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যদি উন্নতি না হয় তাহলে হয়তো বিক্রি হবে এই সংস্থাগুলো। এক্ষেত্রে একদিকে যেমন লাভ হতে শুরু করলে আরও বেশি দামে বিক্রি করা যেতে পারে তেমনি বিক্রি না করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।
বাজেট এর আগে সরকারের এই বিভিন্ন মত প্রশ্ন তুলেছে একাধিক মহলে। সরকার কি বীমা সংস্থাগুলোকে সম্পূর্ণ বেসরকারিকরণ করে দিতে চাইছে? কারণ বিগত নভেম্বর মাসেই ডিপার্টমেন্ট অফ ফিনান্সিয়াল সার্ফিসের তরফ থেকেই ১০০% বিদেশী বিনিয়োগের প্রস্তাব আনা হয়েছিল। চলতি বছরের ১লা ফেব্রুয়ারি বাজেট প্রকাশ পেলেই সমস্ত কিছু পরিষ্কার হবে।