Electric Vehicle: বিশ্বাস ভরসায় ঘাটতি বৈদ্যুতিক গাড়িগুলি, চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে কি ক্রেতাদের মনে জায়গা করতে পারবে?

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Electric Vehicle: বর্তমানে যে হারে জ্বালানি খরচ বাড়ছে তাতে করে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিষয়ে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কোম্পানিগুলিও বাজারে আনছে নতুনত্ব প্রযুক্তির ব্যবহার করে অত্যাধুনিক সব ইলেকট্রিক দু চাকা, চারচাকা গাড়ি। যা পরিবেশবান্ধব এবং খরচ-খরচা কম। তবে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের প্রতি বহু ক্রেতা আগ্রহ দেখালেও অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে অত্যাধুনিক গাড়িগুলির চলাচলের বিশ্বাস ভরসা নিয়ে। কিন্তু কেন এই প্রশ্ন উঠছে? সেই চ্যালেঞ্জের সমাধান কি করতে পারবে অত্যাধুনিক গাড়িগুলি?

Advertisements

টাটা মোটরস থেকে শুরু করে বহু বড় বড় অটোমোবাইল কোম্পানি সহ স্টার্টআপ সংস্থাগুলি বাজারে লঞ্চ করছে দারুন দারুন বৈশিষ্ট্যযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়ি (Electric Vehicle)। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ক্রেতামহল থেকে প্রশ্ন উঠছে গাড়ির মাইলেজ নিয়ে। অনেকের মনে ধারণা উঠেছে গাড়ির সীমিত রেঞ্জের বিষয়ে। যা তাদের পথে হয়তো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ক্রেতাদের এই ধারণা কি ভাঙতে পারবে বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থাগুলি?

Advertisements

বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে যে বিপ্লব ঘটেছে তার সম্মুখভাগে রয়েছে টাটা ইভি। ফলে ক্রেতাদের এই ধারণা ভাঙতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এই সংস্থা। সংকট কাটিয়ে ক্রেতাদের মনে বিশ্বাস ভরসা জোগাতে সংস্থাগুলি আনছে নতুন নতুন মডেলের চমৎকার বৈদ্যুতিক গাড়ি। যার মধ্যে ইতিমধ্যে বাজারে এসেছে Nexon.ev, Curve.ev -এর অত্যাধুনিক মডেল, যা ARAI সার্টিফায়েড।

Advertisements

আরও পড়ুন: দু-চাকার দুনিয়ায় বিপ্লব আনলো TVS, লঞ্চ করল সিএনজি স্কুটার, ফিচার রয়েছে চোখ ধাঁধানো

নেক্সো এবং কার্ড মডেলের বৈদ্যুতিক গাড়িগুলি ক্রেতাদের জন্য এনেছে বিশেষ সুবিধা। এই গাড়িগুলিতে যুক্ত ব্যাটারি ১৫ মিনিটে চার্জ হয়ে ১৫০ কিমি যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। এছাড়াও এই গাড়ির রেঞ্জ রয়েছে ৫০২ কিলোমিটার। যা ক্রেতাদের মনে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রতি বিশ্বাস আনতে পারে। এই গাড়িগুলি (Electric Vehicle) বাজারে আসাতে বেড়েছে ক্রেতা সংখ্যা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি মানুষ এই গাড়ি তে যাত্রা করছেন। খবর অনুযায়ী ২০২০ সালে ১৩% ক্রেতা এই গাড়ির প্রতি আস্থা রেখেছিল। তবে ২০২৪ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭% হয়ে গিয়েছে।

ক্রেতাদের মনে বিশ্বাসের সংকট কাটাতে শুধু অত্যাধুনিক মডেল নয়, মডেলগুলির খরচ খরচার দিক থেকেও এসেছে পরিবর্তন। সর্বদিক থেকেই বৈদ্যুতিক গাড়িগুলির খরচ-খরচা রয়েছে বেশ কম। রয়েছে স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিংয়ের ব্যবস্থা। রক্ষণাবেক্ষণেও বেশ খরচ কম। ৫ বছরে এই গাড়ি ব্যবহার করে গ্রাহকরা সাশ্রয় করতে পারবেন প্রায় ৫.২ লক্ষ পর্যন্ত। পাশাপাশি গ্রাহকদের আকর্ষণ করাতে কার্ভ, পাঞ্চের মতো জনপ্রিয় কোম্পানিগুলি বৈদ্যুতিক গাড়িগুলিতে আনছে নজরকারা সুবিধা। নজির গড়ছে নিরাপত্তার দিক থেকেও। বিশেষত আইপি৬৭ রেটিং এবং অ্যাডাস প্রযুক্তি ক্রেতাদের কাছে এই গাড়িগুলিকে বেশ নির্ভরযোগ্য করে তুলছে। প্রায় সবকটি ইলেকট্রিক গাড়ি গুলিতেই রেটিং উঠেছে ৫ স্টার। কম খরচে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়ি ক্রয় করার দিকে অনেকেই ঝুঁকছেন। তবে অপেক্ষা পুরোপুরি ভাবে সমস্ত দিক থেকে গ্রাহকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠা।

Advertisements