Tata Group: বিরাট প্রাপ্তি টাটা গ্রুপের, দেশের অগ্রগতিতে দুর্দান্ত সওগাত দিল টাটা সংস্থা

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Tata Group: প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যু হলেও নড়বড়ে হয়ে পড়েনি কোম্পানি। বরং প্রতিষ্ঠাতা রতন টাটা মৃত্যুর পর শোক কাটিয়ে দেশের উন্নতিতে চলছে টাটা গ্রুপের জোর কদমে কাজ। প্রতিষ্ঠাতা রতন টাটার কথামতোই চলছে সংস্থার কাজ। আর সেই মতোই উন্নতিতে দেশকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে এক নয়া আবিষ্কার করল টাটা সংস্থা। যা আগামী দিনে দুর্দান্ত সুবিধা প্রদান করবে। কি সেই আবিষ্কার?

Advertisements

বর্তমানে হাইড্রোজেন মিশন নিয়ে কাজ করছে ভারত। আর এই পরিস্থিতিতেই দেশকে নতুন দিশা দেখাতে এক নয়া আবিষ্কার করল টাটা গ্রুপ (Tata Group)। তৈরি করল এক ধরনের স্টিলের পাইপ। যে পাইপ দিয়ে খুব সহজেই চলাচল করতে পারবে হাইড্রোজেন। হবে না কোনো সমস্যা। এমনকি উচ্চতর তাপমাত্রা থাকা সত্ত্বেও কোনো প্রভাব ছাড়াই ভালোভাবে প্রবাহিত হতে পারবে হাইড্রোজেন। কোথায় এবং কিভাবে তৈরি করা হলো এই উন্নত পাইপ?

Advertisements

টাটা সূত্রে খবর, এই উন্নত মানের স্টিলের পাইপ তৈরি করা হয়েছে কালিনগর প্ল্যাট থেকে। পুরোপুরি দেশীয় পদ্ধতিতেই নির্মিত হয়েছে এই পাইপ। যা নির্মাণের পর সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে হাইড্রোজেন চলাচলের জন্য এই স্টিলের পাইপ বেশ উপযুক্ত। এটি এমন ভাবেই তৈরি করা হয়েছে যে দিনের পর দিন ব্যবহার করা হলেও এটির কোনো ক্ষতি হবে না।

Advertisements

আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের যুদ্ধ বাঁধলে কি অবস্থা হবে জানেন?

মূলত পাইপের মধ্যে দিয়ে হাইড্রোজেন প্রবাহিত হতে পারবে তেমন পাইপ তৈরি করার জন্য ২০২৪ সালে প্রথম স্টিল কোম্পানি হিসেবে নাম নথিভুক্ত করান টাটা গ্রুপ অ্যান্ড সন্স। এক্স ৬৫ গ্রেডে নির্মাণ করা হয়েছে এই হাইড্রোজেন এ পি আই। যার মধ্যে দিয়ে সমস্যাহীন ভাবে প্রায় ১০০% বিশুদ্ধ হাইড্রোজেন পরিবাহিত হতে পারবে। তবে এই উন্নতমানের পাইপ টাটা সংস্থা (Tata Group) একা একা তৈরি করেনি। সাথে সহযোগিতা করেছে ইতালির এক সংস্থা। যা ভারতের জন্য এক দুর্দান্ত উপহার। এর মাধ্যমে দেশ খুব সহজে হাইড্রোজেন গ্যাস নিয়ে আসতে পারবে।

প্রসঙ্গত টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা হলেন রতন টাটা। যিনি প্রয়াত হয়েছেন ২০২৪ এর ৯ই অক্টোবর। ৮৬ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে পরলোক গমন করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর বর্তমানে টাটা সংস্থার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রয়াত রতন টাটার ভাই নোয়েল টাটা। তবে প্রতিষ্ঠাতার কথা অমান্য করেনি। বরং মৃত্যুবরণ করলেও তাঁর কথা মতোই চলছে কোম্পানির কাজ। তবে টাটা সংস্থার এই নতুন আবিষ্কার ভবিষ্যতে দেশের কাজে যাতে সহজেই ব্যবহার করা যায় তার দিকে নজর দিয়েছে টাটা সংস্থা। তবে কতটা সফল হয় সেটাই দেখার।

Advertisements