Bangladesh: বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির কথা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর থেকে বাংলাদেশের দায়িত্ব রয়েছে ইউনূসের হাতে। এদিকে আমেরিকায় ক্ষমতায় ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সাথে ইউনূসের যে বরাবরের সাপ ও নেউলের সম্পর্ক এই কথা অস্বীকার করবেন না কেউই। এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক সিদ্ধান্তে কার্যত বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এবার আর মিলবেনা অর্থ সাহায্য ফলে রীতিমতো বিপদে পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। এর উপরে ফোঁড়ার উপর লাঠির ঘা মেরে আরেক সিদ্ধান্ত আরও বিপাকে ফেলছে বাংলাদেশকে।
সম্প্রতি খবর এসেছে এবার আমেরিকার পথেই হাঁটছে অন্য আরেক দেশ। বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রতি অর্থ সাহায্যের উপর দেখিয়ে দেওয়া হলো একটা বড় ‘না’। জানা যাচ্ছে সুইৎজারল্যান্ড সরকারও এবার আমেরিকার পথে হাঁটতে চলেছে। আর্থিক দিক থেকে অন্যতম শক্তিশালী দেশ হলো এই সুইৎজারল্যান্ড। এবার সেই দেশও মুখ ফিরিয়ে নিলো বাংলাদেশের দিক থেকে। এতেই চিন্তার ভাঁজ পড়ছে বাংলাদেশের কপালে।
কেনো এই সিদ্ধান্ত নিলো সুইস সরকার?
এই প্রশ্নের উত্তরে জানা গেছে যে এই সিদ্ধান্ত আকস্মিক নয়। বরং বিস্তারিত চিন্তা ভাবনা করে তবেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। এক সংবাদমাধ্যম সুত্রে জানা গিয়েছে যে গত ডিসেম্বর থেকেই এই আর্থিক সাহায্য কমানোর কাজে উদ্যোগী হয়েছিল ওই দেশের সরকার। আর নতুন বছর শুরু হতে সেই সিদ্ধান্তই কার্যকরী করেছে বলে খবর। চলতি বছরে সুইস সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বাজেট থেকে ১২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও ২০২৬ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত ৩৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তুলে নিয়েছে এই দেশ। যার জন্য কার্যত বিপাকে পড়েছে ইউনূস সরকার। শুধু যে বাংলাদেশ তা নয় এর সাথে বিপদে পড়তে চলেছে আরও কয়েকটি দেশও।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে জায়গা পেলো ভারতীয় বংশোদ্ভূত কুশ দেশাই
প্রভাবিত দেশসমূহ:
জানা যাচ্ছে সুইস সরকারের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের (Bangladesh) পাশাপাশি আলবেনিয়া এবং জাম্বিয়ার মতো দেশগুলোও এই তালিকায় রয়েছে। এছাড়াও জানা যাচ্ছে আগামী ২০২৮ সাল পর্যন্ত তাও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হলেও এরপর থেকে আর সহযোগিতা দেওয়া হবেনা দেশগুলিকে এমনটাই এদিন জানিয়ে দিলো সুইস সরকার। এই তিন দেশ ছাড়া ইউক্রেনকে আর্থিক সাহায্য করে থাকে সুইৎজারল্যান্ড। তবে এর প্রভাব যে ইউক্রেনের উপর পড়বেনা এই ব্যাপারটি স্থির করেছে ফেডারেল কাউন্সিল।
বলে রাখি বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে শেখ হাসিনা চলে আসার পর থেকেই ওপর বাংলার আর্থিক সমস্যার শেষ নেই। বারবার ওই দেশের অশান্তি এবং অভাবের কথা উঠে এসেছে সমাজ মাধ্যমে। এরপর সুইৎজারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সাহায্য প্রত্যাহারের ঘটনা বাংলাদেশের উপর আর্থিক চাপ আরও জোরালো করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছেনা।