Train Shift: কম খরচে আরামদায়ক ভ্রমণের অন্যতম মাধ্যম হলো রেল মাধ্যম। যাতায়াতের এই মাধ্যমে উপর প্রায় প্রতিদিন ভরসা করে থাকেন বহু মানুষ। কাজের সূত্রে অনেক মানুষ গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার জন্য বেছে নেয় রেলপথকে। ফলে কোনো কোনো সময় ট্রেন লেট হয়ে গেলে সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। সাম্প্রতিক তেমনই এক পরিস্থিতির শিকার হলো রেলযাত্রীরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ট্রেনের জ্যামে পড়েছিলেন যাত্রীরা। তবে কোনো ট্রেন লেট নয়, মূলত চালকের কারণেই এই অস্বস্তি জনক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল রেলযাত্রীদের। কি কারণ? কোন জায়গাতেই বা ঘটেছে এই ঘটনা?
খবর রয়েছে, গুজরাটের সুরাট শহরে ঘটেছে এই ট্রেন জ্যামের ঘটনা। চলন্ত অবস্থায় ছিল মালগাড়িটি। কিন্তু হঠাৎ করেই চলন্ত অবস্থায় ট্রাকের মাঝপথে ট্রেন (Train Shift) থামিয়ে মালগাড়ি থেকে নেমে পড়েন চালক। তারপর থেকে আর সেখানে দেখা যায়নি চালককে। ফলে সেই ট্রাকে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকে মালগাড়িটি। পরবর্তীতে ওই ট্রাক দিয়ে আসা ট্রেনগুলিও পরপর সারিবধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। যার ফলে আড়াই ঘণ্টা জ্যামে পড়তে হয় ওই লাইনের যাত্রীদের। কিন্তু কি কারণে ট্রেন চালাতে চালাতে মাঝ রাস্তা থেকে উধাও হয়ে গেলে লোকো পাইলট?
লোকো পাইলটের মাঝপথে ট্রেথ থামিয়ে গায়েব হয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানা গিয়েছে, তার কাজের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার কারণেই তিনি মাঝ রাস্তায় ট্রেন থামিয়ে চলে গেছেন। অর্থাৎ পাইলটের উক্তি, তার শিফট (Train Shift) শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই সে ট্রেন থামিয়ে চলে গিয়েছে। তাহলে কিভাবে সেই ট্রেনের জ্যাম কাটালো রেল কর্তৃপক্ষ? এছাড়া পাইলটের এই যুক্তি শুনে কি ব্যবস্থা নিল রেল?
আরও পড়ুন: ভিআইপি কালচার নিয়ে অসন্তোষ, মন্দিরে এবার ভিআইপি দর্শন বন্ধ হতে পারে, মামলা দায়ের আদালতে
সূত্র মারফতে জানা যায়, ওই মালগাড়ির চালক শিফট শেষ হয়ে যাওয়ায় মাঝপথে ট্রেন দাঁড় করিয়ে উধাও হয়ে যায়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা জ্যাম লাগে ওই মালগাড়ির ট্রাকে। যার ফলে ওই ট্রাকে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। জ্যামের কারণে লেট হয় ওই লাইনের প্রতিটি ট্রেনের। যার ফলে চরম বিপাকের সম্মুখীন হন রেলযাত্রীরা। এমনকি স্টেশনে এসেও চালক এই বিষয়ে জানাননি। পরবর্তীতে স্টেশনে খবর এলে রেল তরফে অন্য লোকো পাইলটের ব্যবস্থা করে ওই লাইনের ট্রেন চলাচল শুরু করে।
তবে রেল তরফে এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে। রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লোকো পাইলটদের এই কাজের শিফট নিয়ে তারা নতুন কোনো ব্যবস্থাপনা করবেন। ট্রেন চলাচলের শিফটের (Train Shift) পরিবর্তন সঠিক সময় না করলে যাত্রীদের বড় বিপদে পড়তে হয়। তাই যাত্রীদের কথা ভেবে এই বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।