Deucha Pachami: লক্ষ্মীবারে লক্ষ্মীলাভের কাজ শুরু দেউচা পাঁচামিতে, কাটবে বেকারত্বের অভাব

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Deucha Pachami: গত ৫ই ফেব্রুয়ারি বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। আর সেই সভা থেকেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন বীরভূমের দেউচা পাঁচামিতে কালো সোনা উত্তোলনের কাজ শুরু হওয়ার কথা। আর সেই কথা মতই লক্ষ্মীবার অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে গেল জোর কদমে কাজ। শুরু হয়ে গেল সরকারি জমিতে খনন কার্য। কারা করবে এই কাজ? স্থানীয়রা কি অগ্রাধিকার পাবে?

Advertisements

প্রসঙ্গত ২০২৪ সালের মে মাসে দেউচা পাঁচামিতে কর্মক্ষেত্র তৈরি হওয়ার আগাম ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। জানিয়েছিলেন বীরভূমের দেউচা পাঁচামিতে (Deucha Pachami) বেকারত্ব থাকবে না। প্রায় ১ লাখের বেশি শূন্যপদ তৈরি হবে। আর সেই মতোই ২০২৫ সালে স্থানীয়দের খুশির খবর শোনালো রাজ্য সরকার। কি সেই খুশির খবর?

Advertisements

ঘোষণা অনুযায়ী এবার বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোল ব্লক হতে চলেছে দেউচা পাঁচামিতে। বৃহস্পতিবার থেকেই কাজ শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কাজ শুরু মোহাম্মদ বাজারের চাঁদা এলাকায়। যা খতিয়ে দেখার জন্য এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন জেলা প্রশাসন, বীরভূম থানার অফিসাররা। এদিন গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে জেলা প্রশাসন জানান, অতি প্রয়োজনীয় খনিজ আকরিক তোলার আগে ব্যাসল্ট উত্তোলনের কাজ শুরু হবে। আর তারপরেই উত্তলিত হবে কালো সোনা অর্থাৎ কয়লা।

Advertisements

আরও পড়ুন:  আবারও একাধিক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা রেলের, যাত্রাপথও নিয়ন্ত্রিত হবে কিছু ট্রেনের

কারা পাবে এই কোল ব্লকের কাজ? খবর অনুযায়ী বিরাট প্রকল্প শুরু হবে স্থানীয়দের নিয়েই। অর্থাৎ স্থানীয় বাসিন্দারাই এই ব্যাসল্ট তোলার কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। শুরু হয়ে গিয়েছে নাম নথিভুক্তিকরন। যা শুনে বেশ খুশি দেউচা পাঁচামির (Deucha Pachami) স্থানীয় বাসিন্দারা। বলা যায় আর্থিক উন্নয়ন হবে বীরভূমের দেউচা পাঁচামিতে। আশা করা হচ্ছে এই কালো সোনা উত্তোলনে জেলার আর্থিক উন্নয়নের গতি হবে।

খবর রয়েছে মাটির নিচে রয়েছে প্রায় ১ হাজার ২৪০ মিলিয়ন টন কয়লা এবং ২৬০০ মিলিয়ন টন ব্যাসল্ট। তবে কয়লা তোলার আগে উত্তোলিত হবে ব্যাসল্ট। যা করবে স্থানীয়রা। আর এই খবর শুনে অত্যন্ত খুশি বাসিন্দারা। তাদের কথায় স্থানীয় এলাকার অবস্থার উন্নতি ঘটবে। কর্মসংস্থান তৈরি হবে। স্থানীয়রা কাজ পাবে। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল তৈরি হবে। যা শুনে তারা খুবই আপ্লুত বলে জানিয়েছেন। তবে এই কালো সোনা উত্তোলনের কাজ কতটা সফল হয় সেটাই দেখার।

Advertisements