Food and Supplies Department: অভিযানে নামছে খাদ্য দপ্তর, সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজাই লক্ষ্য

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Food and Supplies Department: আগামী ৮ই এবং ৯ই ফেব্রুয়ারী রাজ্যের সকল ব্লকে উপভোক্তা সম্পর্ক অভিযানে নামতে চলেছে খাদ্য দপ্তর। রেশন সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা এবং সমাধানের পথ খুঁজতে এই অভিযান তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলা যায়। গ্রাহকরা ঠিকমতো রেশন সামগ্রী পেয়ে থাকেন কিনা সেসম্পর্কে জিজ্ঞাসার পাশাপাশি দুয়ারে রেশন সম্পর্কে কোনো সু পরামর্শ থাকলে সেটাও উনারা লিপিবদ্ধ করবেন বলে সূত্রে খবর।

Advertisements

রেশনে এখন যেটা বড় সমস্যা সেটা হলো সার্ভার সমস্যা। সার্ভার খারাপ থাকার ফলে কোনো কোনো সময় গ্রাহকদের প্রচন্ড ভোগান্তি পোহাতে হয়। সার্ভার না থাকলে একদিকে যেমন গ্রাহককে দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। আবার দুয়ারে রেশন রাজ্যে চালু থাকায় ডিলার রেশন ঘুরে নিয়ে চলে গেলে সামগ্রী পেতে যদি বেগ পেতে হয় সেবিষয়ে গ্রাহকদের মনে ভীতির সঞ্চার হয়। এছাড়াও রয়েছে আধার লিংকের সমস্যা। আধার লিংক থাকার পরেও অনেক সময় গ্রাহকের রেশনকার্ড বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ফলে সেই গ্রাহক রেশন সামগ্রী পাচ্ছেন না। এসব বিষয় যেমন রয়েছে পাশাপাশি কোথাও কোথাও কিছু ডিলার দুয়ারে রেশন সামগ্রী ঠিক মতো পৌঁছে দেন না। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে বিল কেটে নিয়ে এসে দোকানে সামগ্রী দেন। এসব বিষয়ে গ্রাহকের কাছে সরাসরি পৌঁছে যেতেই সরকারের তরফে খাদ্য দপ্তরের (Food and Supplies Department) এই সিদ্ধান্ত।

Advertisements

তবে এখানেও অনেক প্রশ্ন রয়েছে, রেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করতে যেখানে খাদ্য দপ্তরের (Food and Supplies Department) পক্ষ থেকে এত কিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে যেমন সামগ্রী তোলার জন্য গ্রাহকের ফ্রিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া, ছাপ না হলে চোখের স্ক্যান করা, সামগ্রী তোলার জন্য ওটিপি এবং রেশন তোলার পরে গ্রাহকের মোবাইলে মেসেজ করে কি পরিমান সামগ্রী পেয়েছে গ্রাহককে সেটা জানানো তারপরেও দুর্নীতিটা কোথায়? তবে কি এতকিছুর পরেও সরকারের সেই ডিলারদের ওপর ভরসা নেই যে ডিলারেরা করোনা মহামারীতে একসময় নিজের জীবন বাজি রেখে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে গ্রাহকের হাতের মুঠোয়?

Advertisements

আরও পড়ুন: লক্ষ্মীবারে লক্ষ্মীলাভের কাজ শুরু দেউচা পাঁচামিতে, কাটবে বেকারত্বের অভাব

আবার এই প্রশ্নও থেকে যায় যেখানে মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার দুয়ারে রেশন দিতে গিয়ে কার্যত বেগ পেতে হয় ডিলারদের এবং কখনও কখনও সার্ভার সমস্যায় জেরবার অবস্থা হয় গ্রাহকের। সেখানে ঐদিনের মধ্যে উপভোক্তা অভিযান না করে কেন শনিবার এবং রবিবার দিন হিসাবে বেছে নেওয়া হলো? দুয়ারে রেশনের দিন উপভোক্তা অভিযান করলেই তো বাস্তব পরিস্থিতি অনেকটাই আন্দাজ করা যেত। তবে কি গ্রাহকরা বিক্ষোভ দেখাতে পারে এরকম কোনো ভয় কি তবে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে (Food and Supplies Department)?

আবার দুয়ারে রেশন অনেকেই চান না। বাস্তবে কিছু ডিলারও এই দুয়ারে রেশনের বিরোধী। তাঁদের অভিযোগ, অনেক পাড়ায় রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেবার মতো পরিকাঠামো নেই। আবার গ্রাহকদের মতামত যে দোকানে রেশন বিলি হলে তাঁরা যখন খুশি যেকোনো দিন রেশন সামগ্রী তুলতে পারবেন। কিন্তু পাড়ায় বিলি হলে তাতে সমস্যা বেশি। এর চেয়ে মাসের কিছু নিদিষ্ট সময় দোকান খোলা থাকলেই বেশি ভালো বলে মনে হয়। তাই এসব বিষয়ে ভিন্ন জনের ভিন্ন মতামত যখন রয়েছে তখন সরকারের সরাসরি জনসমক্ষে আসাটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং জনগণের একাধিক বিষয়ে মতামত জানার একটা সুবর্ণ সুযোগ এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Advertisements