নিজস্ব প্রতিবেদন: সিউড়ির তালতলা অর্থাৎ সিউড়ি রেলস্টেশন যাওয়ার যে রাস্তা সেই এলাকা। যে এলাকায় নিজেদের ব্যবসা করে থাকেন দুর্বার সমিতির মহিলারা। অনেকেই রয়েছেন যারা এই রাস্তা দিয়ে পারাপারের সময় কাচিমুচি করেন। কেননা ঐ সকল মহিলারা যে যৌনকর্মী। অনেকেই রয়েছেন যারা এই সকল দুর্বার সমিতির মহিলাদের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিও তুলেছেন বহুবার। তবে এই সকল মহিলারাই এবার যেভাবে বিপদে পড়া এক যুবকের পাশে দাঁড়ালেন তা শুনলে আপনিও স্যালুট জানাবেন।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। যেদিন ইলামবাজার থেকে গোবিন্দ মার্ডি নামে এক যুবক সিউড়ি স্টেশনে এসেছিলেন তার বাবাকে বেশ কিছু কাগজপত্র দেওয়ার জন্য। বাবার সঙ্গে দেখা করার পর এবং কাগজপত্র দেওয়ার পর ওই যুবক হেঁটে হেঁটে ওই এলাকা পার হচ্ছিলেন। এমন সময় আচমকা তিনজন দুষ্কৃতী তার থেকে মোবাইল, টাকা পয়সা ছিনতাই করে নেয়। হাতে পায়ে ধরেও ওই দুষ্কৃতিদের থেকে ওই যুবক নিজের জিনিসপত্র ফেরত পাননি।
এমন পরিস্থিতিতে ওই যুবক নিরুপায় হয়ে এলাকায় যে দুর্বার সমিতি রয়েছে সেখানকার মহিলাদের সাহায্যের জন্য বলেন। এরপরই ওই মহিলারা রীতিমত ক্ষেপে ওঠেন এবং পাল্টা ওই দুষ্কৃতিদের ধাওয়া করেন। তিনজনের মধ্যে একজনকে তারা ধরে ফেলেন এবং তার থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। বাকি দুজন পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় যাকে ধরা সম্ভব হয়েছিল তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বোলপুরে আবাসনে বিধ্বংসী আগুন! মৃত কমপক্ষে ২, আহত বেশ কয়েকজন
তবে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। দুর্বার সমিতির মহিলাদের অভিযোগ, দু’তিন বছর ধরে এমনই ঘটনা ঘটে চলেছে। কয়েকজন রয়েছেন যারা এই ধরনের কাজকর্ম প্রতিনিয়ত ঘটিয়ে চলেছে। তাদের কাছে যে সকল কাস্টমাররা আসছেন তাদের উপরও এই ধরনের হামলা চালানো হয়। এছাড়াও সাধারণ মানুষ যারা ট্রেন ধরতে আসেন তাদের উপরও এমন হামলা চালিয়ে ছিনতাই করা হয়। পুলিশে বারবার জানিয়েও সেই ভাবে সুরাহা পাওয়া যায়নি। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারপর আবার ছেড়েও দেওয়া হয়। আবার ওই দুষ্কৃতীরা এখানে এসেই এইভাবে ছিনতাই চালায়।
এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় ওই সকল দুর্বার সমিতির মহিলাদের। তারা স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, এমন ঘটনার অবসান অবিলম্বে করতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে।